জুনিয়র চিকিৎসকদের দীর্ঘ আন্দোলনের পরে অবশেষে কাল মধ্যরাতে অবশেষে দ্বিপাক্ষিক মতবাদের জট কেটেছে রাজ্য সরকার ও জুনিয়র চিকিৎসকদের মধ্যে। এদিন লিখিতভাবে দুপক্ষের তরফেই মিটিংয়ের কার্যবিবরণী নোট করা হয়েছে। আন্দোলনকারীদের ৫ দফা দাবিমতো রাজ্যের চার শীর্ষ আধিকারিককে সরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে। বদলির প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলেই চিকিৎসকদের তরফে কর্মবিরতি তুলে নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। কিন্তু স্বাস্থ্যসচিবকে সরিয়ে না দেওয়া এবং ডেপুটি কমিশনারের (সেন্ট্রাল) বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ না নেওয়া নিয়ে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের একাংশ ক্ষুব্ধ।
কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রালের বিরুদ্ধে এর আগে একাধিক বার মিথ্যে বলার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি নিহত চিকিৎসক তরুণীর বাবা–মাও অভিযোগ করেছিলেন ডিসি সেন্ট্রালের বিরুদ্ধে। কার্যত আরজি করে নির্যাতিতা তরুণীর দেহ উদ্ধারের পর একটি ভিডিও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেই ভিডিওতে দেখা যায় ক্রাইম সিমে প্রচুর পরিমাণে বহিরাগতদের ভিড় রয়েছে। সেই ভিডিও দেখে সাড়া পড়ে যায় সমাজমাধ্যমে এবং চিকিৎসকদের মধ্যে। সকলেই প্রশ্ন করে হাসপাতালে ক্রাইম সিনে এত বহিরাগতকে প্রবেশ করার অনুমতি কী করে দিল পুলিশ এরপরই ডিসি সেন্ট্রাল একটি সাংবাদিক বৈঠক করে জানান যে, তরুণী চিকিৎসকের দেহ যেখানে ছিল, সেখান থেকে ৪০ ফুটের অংশ ঘেরা ছিল। সেখানে কোনও বহিরাগত প্রবেশ করতে পারেননি।
এই মন্তব্য প্রসঙ্গেই নির্যাতিতার বাবা সরাসরি সংবাদমাধ্যমে বলেছিলেন, ‘ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় যে কথাগুলো বলেছেন, হান্ড্রেড পার্সেন্ট মিথ্যে কথা বলেছেন। উনি বিষয়টা কোথা থেকে জেনে বললেন? উনি তো ভিতরেও ছিলেন না। উনি মিথ্যা কথা বলছেন। বারবারই বলছি। কিছু ঘেরা ছিল না।’
এই পরিস্থিতিতেই কলকাতা পুলিশের ডিসি (সেন্ট্রাল) ইন্দিরাকে অপসারণের দাবি করেছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। কিন্তু তাই নিয়ে কোনও পদক্ষেপের কথা গতকালের বৈঠকে আলোচিত হয়নি। ফলে নিজের পদেই বহাল থাকছেন ইন্দিরা। এই নিয়েই অসন্তোষ রয়েছে চিকিৎসক মহলের একাংশে।