• facebook
  • twitter
Thursday, 19 September, 2024

বুধবার মাইথন ও পাঞ্চেত মিলিয়ে দেড় লক্ষ কিউসেক জল ছাড়ল ডিভিসি, বন্যার আশঙ্কা রাজ্যে

বুধবার সকালে মাইথন থেকে ছাড়া হয়েছে ৪০ হাজার কিউসেক জল।

গত কয়েকদিন ধরে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে টানা বৃষ্টিপাত হয়েছে। ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির জেরে এখনও জলের তলায় দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলার বাসিন্দারা। মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ অনেকটাই কমেছে। বুধবার সকালে মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে দেড় লক্ষ কিউসেক জল ছাড়ল ডিভিসি। বুধবার সকালে মাইথন থেকে ছাড়া হয়েছে ৪০ হাজার কিউসেক জল। মঙ্গলবার মাইথন থেকে জল ছাড়া হয়েছিল ১ লক্ষ ৬০ হাজার কিউসেক। মাইথন থেকে মঙ্গলবারের তুলনায় কম জল ছাড়ল ডিভিসি কর্তৃপক্ষ।

আবার পাঞ্চেত থেকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। মঙ্গলবারের তুলনায় পাঞ্চেত থেকে ৪০ হাজার কিউসেক জল বেশি ছাড়ল ডিভিসি। দামোদরের উপর দিয়ে ১ লক্ষ ৭০ হাজার কিউসেক জল যাচ্ছে দুর্গাপুর ব্যারেজে।

ডিভিসি কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার মাইথন এবং পাঞ্চেত মিলিয়ে মোট ২ লক্ষ ৭৪ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছিল। জলের চাপ বাড়তে থাকলে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। বর্ধমান, হাওড়া এবং হুগলির খানাকুল, আরামবাগ-সহ দামোদরের তীরবর্তী এলাকাগুলিতে প্লাবনের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমলেও শনিবার থেকে ঝাড়খণ্ডে চলছে টানা বৃষ্টি। ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়লে ডিভিসি থেকে আরও জল ছাড়া হবে। ডিভিসির অতিরিক্ত জল ছাড়ার ফলে, বন্যার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে রাজ্যের একাধিক জেলায়। এই অবস্থায় রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে? সে বিষয়ে জানালেন মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার তিনি জানিয়েছেন, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে কোথায় কী পরিস্থিতি হয়ে রয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে জেলায় জেলায় যাবেন সচিবরা। প্লাবন পরিস্থিতির জন্য রাজ্যের ১০ জেলায় ১০ জন সচিবকে পাঠানো হচ্ছে।