• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

ঝাড়গ্রামে বন্যায় বিপর্যস্ত বহু গ্রাম

ঝাড়্গ্রাম জেলায় প্রায় ২০০ মাটির বাড়ি ভেঙ্গে গিয়েছে। আর বিভিন্ন ব্লকের যে সমস্ত রাস্তার কালর্ভাট গুলি ভেঙ্গে গিয়েছে সে গুলিকে মেরামত করার উদ্যেগ গ্রহন করছে প্রশাসন।

মঙ্গলবার সকাল থেকে বৃষ্টি না হলেও কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিপাতের ফলে নদী,খাল গুলির জল এখনো কমেনি। যার ফলে বিভিন্ন নদীর কজওয়েগুলির উপর দিয়ে জল বইতে থাকায় এদিনও যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এদিন ডুলুং থেকে শুরু করে তারাফেনী কাঁথুয়া খালের জল এখনও বিপদসীমার উপর দিয়েই বইছে। তাই প্রশাসনের পক্ষ থেকে কজওয়ে গুলির উপর নজরদারি চালানো হচ্ছে।

এদিকে ওই সমস্ত এলাকায় মানুষজন ভিড় জমাচ্ছেন নদীতে বন্যা দেখার জন্য। পাশাপাশি চলছে দেদার সেলফি তোলা। এদিন জলমগ্ন ছিল জামবনি ব্লকের চিল্কিগড়ে ডুলুং নদীর উপর কজওয়েটি এবং গিধনি আন্ডারপাসও ছিল জলমগ্ন। ফলে জামবনি ব্লকের সদর গিধনি,গ্রামীন হাসপাতাল এবং জেলা সদরের থেকে বহু গ্রাম বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে।

বেলপাহাড়ি এঠেলাতে তারাফেনির জল এদিন রাস্তার কজওয়ের উপর দিয়ে তীব্র স্রোতে বয়ে চলেছে। ফলে ফলে ঝাড়গ্রাম বাঁকুড়া সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। জেলার বিভিন্ন রুটে বাস চলাচল এদিন বন্ধ ছিল। তবে সাঁকরাইল ব্লকের বেশ কয়েকটি গ্রামে ডুলুং নদীর জল বাড়ার কারনে খালের কালভার্ট ভেঙে গ্রামে জল ঢুকে গিয়েছে। গ্রামগুলি বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। আঁধারি গ্রামপঞ্চায়েতের বেইঞ্চা,বহরাদাড়ি,রোহিনী গ্রামপঞ্চায়েতের নেগুরিয়া গ্রাম জলবন্দী। এই সব গ্রাম থেকে মানুষ বের হতে পারছেন না। তাঁদের কাছে সোমবার ত্রান সামগ্রী পাঠিয়েছে ব্লক প্রশাসন।

জানা গিয়েছে, সাঁকরাইল ব্লকের গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র কোদপাল ইকো নেস্ট যাওয়ার রাস্তা রোহিনী অঞ্চলের হরেকৃষ্ণপুর থেকে কোদপাল রাস্তাটি ডুলুং নদীর উপচে পড়া জলে ভেসে গিয়েছে। রগড়া অঞ্চলের শিমুলিয়া গ্রামে এখনো জল ঢুকেছে। সাঁকরাইল ব্লকের গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র কোদপাল ইকো নেস্ট যাওয়ার রাস্তা রোহিনী অঞ্চলের হরেকৃষ্ণপুর থেকে কোদপাল রাস্তাটি ডুলুং নদীর উপচে পড়া জলে ভেসে গিয়েছে। রগড়া অঞ্চলের শিমুলিয়া গ্রামেও জল ঢুকেছে।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়্গ্রাম জেলায় প্রায় ২০০ মাটির বাড়ি ভেঙ্গে গিয়েছে। আর বিভিন্ন ব্লকের যে সমস্ত রাস্তার কালর্ভাট গুলি ভেঙ্গে গিয়েছে সে গুলিকে মেরামত করার উদ্যেগ গ্রহন করছে প্রশাসন। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন জেলার কৃষকরা। বেগুন কুন্দরি উচ্ছে পটল ঝিঙে সহ অন্যান্য সবজিও নষ্ট। ফলে সবজি চাষীদের মাথায় হাত। পুজোর মৌসুমে ভালো দামের আশা করেছিলেন কৃষকরা।