ফের ধর্ষণ। ফের বিচারের দাবিতে সোচ্চার বাড়ির অভিভাবকেরা। পরিবারের মুখ বন্ধ করতে অর্থের লোভ দেখালেও তা প্রত্যাখ্যান করে কিশোরীর পরিবার। বিহারের রাজধানী পাটনা থেকে প্রায় ১৮০ কিলোমিটার দূরে বিহারের সহরসায় ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীকে দুই ব্যক্তি বন্দুকের মুখে রেখে ধর্ষণ করে দুই ব্যক্তি। পুলিশ সূত্রে খবর , নির্যাতিতা পুলিশের কাছে জানিয়েছে, বিট্টু এবং অঙ্কুশ নামে দুই অভিযুক্ত তাকে একটি গাড়িতে উঠতে বাধ্য করে এবং তার ওপর যৌন নির্যাতন চালায়। বিহারের সহরসায় এই ঘটনা ঘটে ।
মেয়েটির পরিবার জানায়, শনিবার বিকেলে সে ছাগল চরাতে গিয়েছিল। তিনি যখন বাড়ি ফিরছিলেন, তখন একটি গাড়ি এসে তার পাশে থামে। ভিতরে তিনজন লোক ছিল, তাদের মধ্যে একজন চালক। তাদের মধ্যে দুইজন তাকে গাড়ির কাছে ডাকে । যখন তিনি গাড়ির কাছে আসেন, তখন একজন পুরুষ তার মাথায় বন্দুক ধরে তাকে গাড়ির ভেতরে যেতে বলে। তার চিৎকার যাতে শোনা না যায় সেজন্য গাড়ির অডিওটি তারস্বরে চালানো হয়েছিল। দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে যৌন নিপীড়নের পর ওই দুই ব্যক্তি মেয়েটিকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায়।
বাড়িতে ফিরে আসার পর মেয়েটি তার বাবা-মাকে নির্যাতনের কথা জানায়নি। মেয়েটির কাকিমা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “সে কোথায় ছিল না জানালে তার বাবা-মা তাকে মারধর করতে শুরু করে। আমি যখন তাকে জিজ্ঞেস করলাম, সে আমাকে সব কিছু জানায়। তারা তার জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলে।” তিনি বলেন, অভিযুক্ত মেয়েটি যখনই বাড়ির বাইরে বের হয় তখনই অভিযুক্তরা তার দিকে তাকিয়ে থাকে।
মেয়েটির কাকিমা জানান, অভিযুক্তের পরিবার তাদের টাকার প্রস্তাব দিয়েছিল এবং বলেছিল যে তারা মেয়ের বিয়ের খরচ দেবে। “আমরা টাকা চাই না, আমরা বিচার চাই।” মেয়ের বাবা জানিয়েছেন, তিনি তার মেয়ের বিচার চান। “তারা আমাকে কত টাকা দেবে? আমি এটা চাই না, আমি বিচার চাই।”
এই ঘটনায় পুলিশ এফআইআর করেছে। মেয়েটিকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।