উত্তর ২৪ পরগনার প্রান্তিক এলাকা বসিরহাট। যাকে বিভিন্ন ভাবে বেষ্টিত করে রেখেছে ইছামতি সহ তার বিভিন্ন শাখা নদী। এই মহকুমার হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি, মিনাখাঁ, হাড়োয়া সহ বিভিন্ন অঞ্চল সুন্দরবন অঞ্চলের পার্শবর্তী। এর বহু এলাকায় কংক্রিটের বাঁধ যেমন রয়েছে তেমনি রয়েছে কাঁচা বাঁধ। বেশি বৃষ্টি র ফলে সেই বাঁধ উপচে গ্রাম প্লাবনের যেমন আশঙ্কা থাকে, পাশাপাশি আশঙ্কা থাকে মৎসজীবীদের। কারণ, নদীর জল ফুলে ফেঁপে উঠলে জীবিকা একপ্রকার বন্ধ রাখতে হয়, কারণ প্রশাসনের তরফে মাছ ধরতে যেতে বারণ করা হয় তাঁদের নিরাপত্তার স্বার্থে। দুদিনের অনবরত বৃষ্টি র ফলে ইছামতি সহ বিভিন্ন শাখানদীর জল বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে নদী র নিকটবর্তী এলাকায় বসবাসকারী মানুষরা চিন্তিত।
যদিও স্থানীয় পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি র কর্তারা সহ জন প্রতিনিধিরা ওই কাঁচা নদী বাঁধ পরিদর্শন করেছেন। হিঙ্গলগঞ্জ এলাকার শ্রীধর কাটি,ভান্ডারখালী, এলাকার বিভিন্ন এলাকায় কাঁচা নদীবাঁধ ভেঙে যায়,পাশাপাশি আগে ধস নেমে কংক্রিট এর বাঁধ নস্ট হয়েছে। সেই এলাকা যেন প্লাবিত না হয় সেজন্য খবর পাওয়া মাত্র ঘটনাস্থলে ছুটে যান হিঙ্গলগঞ্জ এর বিধায়ক দেবেশ মন্ডল। সাথে যান স্থানীয় প্রশাসনের কর্তারা। বিধায়ক বলেন, অনবরত বৃষ্টি হওয়ায় বাঁধ মেরামতি র পাকাপাকি কাজে হাত দেওয়া যায়নি। কিন্তু যেন গ্রামে জল ঢুকতে না পারে তার জন্য প্রাথমিক কাজ করা হয়েছে। যাদের কাঁচা বাড়ি, মাটির দেওয়াল তাঁদের প্রয়োজন মত অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ও ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছে। অপরদিকে হেমনগর কোস্টাল থানার পক্ষ থেকে মৎসজীবী দের সতর্কবার্তা দেওয়ার পাশাপাশি নদীপথে পেট্রোলিং করতেও দেখা যায়।