• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

অপর্ণা সেন, শ্যাম বেনেগলদের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা দেশদ্রোহিতা’র মামলা প্রত্যাহার

বুদ্ধিজীবীদের বিরুদ্ধে যিনি মামলা করেছিলেন সেই সুধীর ওঝার অভ্যাস রয়েছে তিনি বিখ্যাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে থাকেন।

অপর্ণা সেন (Photo: IANS)

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদিকে ৪৯ জন দেশের প্রথমসারির বুদ্ধিজীবী একটি চিঠি লিখেছিলেন গত জুলাই মাসে। সেই চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরােধ করা হয়েছিল যে দেশে গণপিটুনিতে মারা যাচ্ছেন মুসলিম, দলিত এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ যা বন্ধ করার জন্য আপনার হস্তক্ষেপ প্রয়ােজন।

এই চিঠি লেখার পর দেশদ্রোহের অভিযােগ এনে যে বুদ্ধিজীবীরা চিঠি লিখেছিলেন যেমন, চলচ্চিত্র নির্দেশক ও নির্মাতা অপর্ণা সেন, লেখক রামচন্দ্র গুহ এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা শ্যাম বেনেগল প্রমুখ– তাঁদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের অভিযােগ এনে একটি এফআইআর করেছিলেন বিহারের একজন আইনজীবী সুধীর ওঝা।

এই এফআইআরের বিরুদ্ধে সারা দেশে প্রতিবাদের ঝড় বয়ে যায়। শেষমেশ জানা গেছে যে বিহার পুলিশ এই ৪৯ জন বুদ্ধিজীবীর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা প্রত্যাহার করেছে বলে সূত্রের খবর। পাশাপাশি অভিযােগ কর্তার নামে মিথ্যা অভিযােগের দায়ে মামলা করছে পুলিশ।

বিহার পুলিশের মুখপাত্র জিতেন্দ্র কুমার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, জেলার মুখ্য পুলিশ আধিকারিক বুদ্ধিজীবীদের বিরুদ্ধে মামলাটাকে অসৎ উদ্দেশ্যে করা মিথ্যা অভিযােগ বলে অভিহিত করেছেন এবং অভিযােগকারীর বিরুদ্ধে মামলা করার সুপারিশও করেছেন। বুদ্ধিজীবীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল প্রচার পাওয়ার উদ্দেশ্যে। উক্ত পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন তদন্তকারী অফিসার এক দু’দিনের মধ্যেই তার চূড়ান্ত রিপাের্ট স্থানীয় আদালতে জমা দেবেন।

বুদ্ধিজীবীদের বিরুদ্ধে যিনি মামলা করেছিলেন সেই সুধীর ওঝার অভ্যাস রয়েছে তিনি বিখ্যাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে থাকেন। বিহারের বিজেপি মন্ত্রী সুশীল মােদি জানিয়েছেন, এই ভদ্রলােক এর আগে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমােহন সিং, বিশিষ্ট চলচ্চিত্র অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন ও হৃত্বিক রােশনের বিরুদ্ধেও সংবাদপত্রের খবরের ভিত্তিতে শুধু প্রচারের আলােয় থাকতে মামলা দায়ের করেছিলেন। তাই এই গােটা মামলায় বিজেপি কিংবা প্রধানমন্ত্রীকে টেনে আনা ঠিক নয়।

আরএসএসের শীর্ষ নেতা মােহন ভাগবত বিজয়া দশমীর বাৎসরিক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়ার একদিন পর পুলিশ এই মিথ্য অভিযােগকারীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছে। মােহন ভাগবত তাঁর বক্তৃতায় বলেছিলেন সমাজের উচিত সংবিধানের সীমার মধ্যে থেকে কাজ করা। তিনি যে কেউ হতে পারেন।

রাজ্য পুলিশের শীর্ষ কর্তা গুপ্তেশ্বর পাণ্ডে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন আদালত ১১ নভেম্বরের আগে পুলিশকে তাদের চূড়ান্ত রিপাের্ট জমা দিতে বলেছিল। তারপর বিহার পুলিশের বুদ্ধিজীবীদের বিরুধ্যে মামলা প্রত্যাহারের এই সিদ্ধান্ত।