• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

এক অভিনব প্রতিবাদে মধ্যরাতে রাজপথে শামিল হলেন ক্ষুব্ধ নারীরা

আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ধর্ষণ ও খুন হওয়া পড়ুয়া-চিকিৎসকও যে দ্রুত সঠিক বিচার পাবেন, তারই বা নিশ্চয়তা কোথায়? ‘প্রশাসনিক চক্রান্ত’-এ ‘কামদুনি’র মতো পরিণতি না হয়— এমন আশঙ্কা করাটা আমাদের পক্ষে নিতান্তই অযৌক্তিক কি?

বরুণ দাস

‘মৃত্যু আলোকে নিভিয়ে দেয় না, এটা প্রদীপ নিভিয়ে দিচ্ছে কারণ ভোর হয়ে এসেছে।’
বাংলায় প্রতিবাদের এক নতুন নজির গড়লেন বঙ্গজ নারীরা। কিশোরী থেকে বৃদ্ধা— নানা বয়সের নারীরা মধ্যরাতে পথে নেমে প্রতিবাদের সুনামি বইয়ে দিলেন। যার রেশ শুধু বাংলায় নয়, ভারতের অন্যান্য রাজ্য সহ সাড়া জাগিয়েছে বিশ্বের অন্যত্রও। ব্রিটেন-আমেরিকা তো বটেই, অন্যান্য দেশেও বাংলার প্রতিবাদী নারীদের সমর্থনে প্রবাসী বাঙালি নারীরা প্রতিবদে রাজপথে নেমেছেন। এমনকি, টালমাটাল বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরাও আরজি করের পড়ুয়া-চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন।

আজকের শক্তিশালী সমাজমাধ্যম তথা নেট দুনিয়ার অপার সৌজন্যে প্রতিবাদের আগাম খবর পৌঁছে গিয়েছিল গোটা বিশ্বে। আধুনিক ও উন্নত প্রযুক্তির অশেষ কল্যাণে যোগাযোগ ব্যবস্থায় এসেছে আশাতীত বিপ্লব। মুহূর্তের মধ্যেই যে কোনও খবর ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিশ্বের আনাচে-কানাচে। ফলে একযোগে প্রতিবাদে অংশ নেওয়ায় কোনওরকম অসুবিধে হওয়ার কথা নয়। কার্যতঃ হয়ওনি। তবে অনেকেই হয়তো ভাবতে পারেননি যে, মধ্যরাতে আট থেকে আশি— নানা বয়সের এত নারী বাড়ি থেকে রাজপথে নেমে গণপ্রতিবাদে শামিল হবেন।

আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পড়ুয়া-চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ওই মর্মান্তিক ঘটনার পর, যা ইতিমধ্যে সংবাদমাধ্যমের সৌজন্যে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে, যারপরনাই ক্ষুব্ধ বঙ্গজ নারীসমাজ প্রতিবাদের যোগ্য পথ খুঁজছিলেন। অবশেষে সে পথের সন্ধান পেতেই তাঁরা স্বাধীনতার ঐতিহাসিক মধ্যরাতকেই বেছে নিয়েচিলেন প্রতিবাদের সেরা মুহূর্ত হিসেবে। শুধু কলকাতা মহানগরই নয়, পথে নেমে প্রতিবাদে শামিল হয়েছিলেন অন্যান্য জেলার ক্ষুব্ধ নারীরাও। পূর্ব ঘোষিত নির্দিষ্ট জায়গা বাদেও অন্যত্র জমায়েত হন তাঁরা।

প্রতিবাদী লগ্ন নির্ধারিত হয়েছিল ১৪ আগস্টের রাত ১১টা ৫৫ মিনিট। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের অনেক আগেই ক্ষোভে ফুঁসতে থাকা নারীসমাজ প্রতিবাদের গনগনে আগুন বুকে নিয়ে উপস্থিত হন বাড়ি থেকে রাজপথে। সে আগুনের তাপে খুনি-ধর্ষক কতটা পুড়বে, তা জানা নেই, কিন্তু পর্দার আড়ালে থাকা দোষী রাজনৈতিক মোড়ল বা পান্ডারা নড়েচড়ে বসতে বাধ্য হবেন একথা বেশ জোর দিয়েই বলা যায়। কারণ দলমত নির্বিশেষে বাংলার এই অপরিমেয় ক্ষুব্ধ নারীশক্তিকে কোনওভাবেই অগ্রাহ্য বা হেলাফেলা করা যাবে না একথা বলাই বাহুল্য।

এখানে উল্লেখ্য, আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পড়ুয়া-চিকিৎসকের এমন নিষ্ঠুরতম পরিণতির কথা কেউ কল্পনাও করতে পারেননি। এমনকি, সরকারি হাসপাতালের মধ্যে রাতে কর্মরত ওই পড়ুয়া-চিকিৎসকও। হাসপাতাল কম্পাউন্ডের মধ্যে নিজের নিরাপত্তা নিয়ে কেই-বা ভাবতে যাবেন। ভাবার কথাও তো নয়। খোদ কলকাতা মহানগরের প্রায় মধ্যস্থলে যেখানে পুলিশ ফাঁড়ি থেকে বেসরকারি নিরাপত্তা বাহিনীর প্রশিক্ষিত কর্মীরা নিয়োজিত আছেন। আছেন হাসপাতালের রাতের শিফটের কর্মরত নানা বিভাগের কর্মীরাও।

এছাড়া হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের পরিবার-পরিজন তো চারদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছেনই। তাদের অধিকাংশই টেনশনে রাত জেগে থাকেন। অন্যদিকে সারারাত গুরুতর অসুস্থ রোগীদের নিয়ে হাসপাতালের এমার্জেন্সি বিভাগে আসা মানুষজনও তো কম নয়। গোটা হাসপাতাল চত্বরটাই তো বলা যায় জাগ্রত। এমন পরিস্থিতিতে কার সাহস হবে অঘটন ঘটানোর? কোনও কুখ্যাত পেশাদারি খুনি-ধর্ষকের কাছেও পরিস্থিতি মোটেও অনুকূল নয়। যদি না তার মাথায় কোনও লম্বা হাত না থাকে। যে হাত রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।

অনেকেরই প্রশ্ন, হাসপাতালের নিজস্ব সিকিউরিটি, হাসপাতালের সুপার, হাসপাতালের বিভাগীয় প্রধান, মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ, রোগীকল্যাণ সমিতির মাথায় শাসক দলের যে প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তি (বিধায়ক) থাকেন, তাঁদের এতগুলো চোখকে ফাঁকি দিয়ে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর হাসপাতালে কারও অনধিকার প্রবেশ ঘটে কী করে? কোনও দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর কেন, দুর্ঘটনা ঘটার আগেই কেন প্রয়োজনীয় নজরটুকু দেন না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ? এঁরা তাদের নিজেদের গুরুদায়িত্ব এড়ানই বা কীভাবে?

আন্দোলনে অংশ নেওয়া সংশ্লিষ্ট মেডিকেল কলেজ-হাসপাতালের পড়ুয়া-চিকিৎসকেরা যে সুপারের বিরুদ্ধে গুরুতর সব অভিযোগ তুলেছে, তাকে প্রথমে বহাল রাখার দৃষ্টিকটু চেষ্টা এবং পরে পদত্যাগের পরও তাকে কলকাতার অন্য একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ-হাসপাতালের দ্রুত সুপার পদে নিয়োগ, ধর্ষণ ও খুনের পর মৃতের বাড়িতে প্রথমে অসুস্থ এবং পরে ‘আত্মহত্যা’ বলে চালানোর চেষ্টা, পুলিশের তরফেও আত্মহত্যা বলে কেস ঠোকা, দ্রুততার সঙ্গে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে ধর্ষক ও খুনি বলে চিহ্নিতকরণ সাধারণ মানুষের মনে নানা সংশয় জাগিয়েছে।

এখানেই শেষ নয়। সংশয়ের আরও অনেক আছে। একদিকে ধর্ষক ও খুনির পরিচয় দিতে তদন্তরত পদস্থ পুলিশ আধিকারিকের তীব্র অনীহা, অতি দ্রুত পড়ুয়া-চিকিৎসকের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত, তা আবার অভিযুক্ত হাসপাতালেই, পুলিশের তরফে মৃতদেহ দাহ করার দ্রুত ব্যবস্থা, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের (বিশেষ করে হাসপাতালের সুপার) জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় না আনাও এর মধ্যে অন্যতম। পুলিশ এবং হাসপাতালের পক্ষে কোনও কিছু গোপন ও চাপা দেওয়ার মরিয়া প্রচেষ্টা, প্রমাণ লোপাটের গুরুতর অভিযোগ এর মধ্যে অন্যতম।

অন্যদিকে কামদুনি-খ্যাত পুলিশ আধিকারিককে আরজি কর-এর তদন্তের দায়িত্বভার অর্পণের মতো সিদ্ধান্ত তো আছেই। আরজি কর-এর প্রতিবাদী পড়ুয়া-চিকিৎসকরা এই বিতর্কিত সিদ্ধান্ত কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছেন না। তাদের প্রশ্ন, স্বাস্থ্য ভবনের কেন এই লুকোচাপা? পুলিশ-প্রশাসন তথা রাজ্য সরকারের কাছ থেকে যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলি অত্যন্ত মানবিকতার সঙ্গে নেওয়ার কথা, সেখানে বিপরীত আচরণই দেখা গেল রাজ্য প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে। এমন স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে রাজনীতি?

উল্লেখ্য, কেউ কেউ তো আবার এই ধর্ষণ ও খুনকে ‘রাজনৈতিক হত্যা’ বলে মনে করছেন। তাদের কথায়, ধর্ষণ ও খুন হওয়া ওই পড়ুয়া-চিকিৎসক নিশ্চয়ই সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের এমন কিছু গুরুতর বেনিয়মের কথা জেনে গিয়েছিলেন যে, তা প্রকাশ্যে এলে অনেক রাঘব-বোয়ালের মাথায়ই হয়তো আকাশ না-হোক, ছাদ ভেঙে পড়ার সমূহ সম্ভাবনা ছিল। তাই কোনওরকম ঝুঁকি না নিয়ে নিকেশ করে দেওয়াই সমীচিন মনে হয়েছিল। এবং তাই সম্ভবতঃ ‘রাজনৈতিক হত্যা’র প্রয়োজন পড়েছিল। তা না হলে কেউ এমন নৃশংসতার আশ্রয় নেয়?

খবরে প্রকাশ, ওই পড়ুয়া-চিকিৎসকের সর্বাঙ্গ জুড়ে ছিল নৃশংসতার চড়া চিহ্ন। ঠিক কতটা ক্রোধ পুঞ্জিভূত হলে এমন চরম প্রতিশোধের কথা ভাবা যায়? প্রতিহিংসা চরিতার্থ করা যায় শত্রুর ওপর? সুতরাং এটাকে নিছক লোভ-লালসা বশতঃ ধর্ষণ এবং প্রমাণ লোপাটের জন্য ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে বলে ধরে নেওয়া বোধহয় ঠিক হবে না। বড্ড সরলিকরণ হয়ে যাবে। চাপা পড়ে যাবে আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অনেক অজানা কথা ও কাহিনি। ক্ষুব্ধ তৃণমূলি ডা. শান্তনু সেন ইতিমধ্যেই যা প্রকাশ্যে এনেছেন।

একসময় যিনি তাঁর দলের তরফে দু-দু’বার ওই হাসপাতালের রোগী কল্যাণ কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। এছাড়া তিনি আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতলের পড়ুয়াও বটে। ছাত্র পরিষদের নেতৃত্বেও ছিলেন (তৃণমূল দলটাই তৈরি হয়নি তখন)। চিকিৎসকও ছিলেন। এখন তাঁর কন্যাও পড়ছে আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতলে। তার নিজের জন্মও ওই হাসপাতালে। বাড়ি থেকে ওই দূরত্ব মাত্র দু’কিলোমিটার। এই হাসপাতালের নাড়ি-নক্ষত্র তাঁর হাতের তালুর মতোই জানা এমনই জোরালো দাবি ক্ষুব্ধ তৃণমূলি ডা. শান্তনু সেনের।

যদিও তিনি তাঁর আমলে আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ‘ঘুঘুর বাসা’ ভাঙতে পারেননি। দুর্নীতিতে রাশ টানা যায়নি। হাসপাতালের রোগী কল্যাণ কমিটির চেয়ারম্যান-পদ ও রাজ্যসভার সদস্যপদ হারিয়ে বিতর্কিত সুপারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন অভিযুক্ত হাসপাতালের এই প্রভাবশালী প্রাক্তনী। যদিও তাঁর দাবি, হাসপাতাল সম্বন্ধে সব অভিযোগই ‘যথাস্থানে’ পৌঁছে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু মহামান্য কলকাতা উচ্চ আদালতের কড়া নির্দেশে ছুটিতে যাওয়া অভিযুক্ত প্রাক্তন সুপার বরাবর থেকেছেন বহাল তবিয়তে।

রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে ৬ দিন সময় বেঁধে দিয়েছিলেন তদন্ত শেষ করে চার্জশিট দাখিলের জন্য। কিন্তু গত ১৩ আগস্ট মহামান্য কলকাতা উচ্চ আদালত এই সংক্রান্ত এক জায়গায় কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআই’কে তদন্তভার নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতে অবশ্য আপত্তি জানায়নি রাজ্য সরকারের (দলমুখি) আইনজীবী। এযাবৎ সংগৃহীত যাবতীয় ‘তথ্য-প্রমাণ’ সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার প্রাসঙ্গিক নির্দেশও রাজ্য পুলিশকে দিয়েছেন মহামান্য কলকাতা উচ্চ আদালত। কেন্দ্রীয় তদন্তসংস্থা সিবিআইয়ের তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে।

কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআই-ও কি সমালোচনার ঊর্ধ্বে? মোটেই নয়। অনেকের ধারণা, সিবিআইকে তদন্তভার দেওয়া মানে তো বিষয়টা ‘ঠান্ডা ঘরে’ ঠেলে দেওয়া। নোবেল চুরি থেকে নারদা-সারদার অর্থ নয়ছয়, রেজানুর রহমান থেকে তাপসী মালিক, সিঙ্গুর থেকে নন্দীগ্রাম, স্কুলশিক্ষকের চাকরি-চুরি থেকে পৌরসভার নিয়োগ-দুর্নীতি, গরু-পাচার থেকে খাদানের পাথর চুরি— সবই তো আবহমানকাল ধরে তদন্ত-পর্ব চলছে। দশক কিংবা যুগ পেরিয়ে গেলেও এর শেষ কোথায় কেউ জানেন না। দ্রুত ‘ইনসাফ’ চাইলেও পাওয়া যায় না।

মহামান্য কলকাতা উচ্চ আদালতের বারংবার কড়া সমালোচনা এবং আধিকারিক বদলের নির্দেশ সত্ত্বেও তদন্ত শেষ হয়ে বিচার-পর্ব শুরু হয় না। তদন্ত প্রক্রিয়া ঢিমেতালে চলছে তো চলছেই। কখনও-সখনও কান টানলেও আবার মাথার দেখা মেলে না। অন্যদিকে বিচারের দীর্ঘসূত্রতার ফলে আইনের ফাঁক গলে ধৃতরা জামিন পেয়ে দলীয় পদে বসে মহামান্য আদালত ও বিচারকদের সম্বন্ধে অমার্জনীয় মন্তব্য করে চলেছেন। বিচারাধীন কেউ কেউ আবার নির্বাচনেও লড়ছেন এবং জয়ী হয়ে বিন্দাস আছেন। এই বাস্তবচিত্রকে কোনওভাবে অস্বীকার করা যায় কি?

আসলে সিবিআই-র কর্মীসংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। যোগ্য আধিকারিক থাকলেও পরিকাঠামো দুর্বল। অথচ দেশজুড়ে কাজের চাপ প্রচুর। স্বাধীনভাবে কাজ করতেও নানারকম বাধার সম্মুখীন হতে হয়। ফলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনও তদন্তই শেষ হয় না।

সুতরাং আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ধর্ষণ ও খুন হওয়া পড়ুয়া-চিকিৎসকও যে দ্রুত সঠিক বিচার পাবেন, তারই বা নিশ্চয়তা কোথায়? ‘প্রশাসনিক চক্রান্ত’-এ ‘কামদুনি’র মতো পরিণতি না হয়— এমন আশঙ্কা করাটা আমাদের পক্ষে নিতান্তই অযৌক্তিক কি?