• facebook
  • twitter
Thursday, 19 September, 2024

‘বাহ্’ , মমতার উদ্দেশে প্রশংসাসূচক পোস্ট পদত্যাগী সাংসদ জহর সরকারের 

আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন জহর সরকার।  শনিবার মুখ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্যভবনে জুনিয়র চিকিৎসকদের ধরনামঞ্চে উপস্থিত হতেই তাৎপর্যপূর্ণ পোস্ট করেন পদত্যাগী সাংসদ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করে শনিবার মাত্র একটি শব্দে মমতার পদক্ষেপকে 'বাহ' বলে বর্ণনা করেন জহর সরকার। প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদের দাবি, আন্দোলনরত চিকিৎসকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা শেষ চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুরোধ করেছিলেন তিনি।  

আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন জহর সরকার।  শনিবার মুখ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্যভবনে জুনিয়র চিকিৎসকদের ধরনামঞ্চে উপস্থিত হতেই তাৎপর্যপূর্ণ পোস্ট করেন পদত্যাগী সাংসদ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করে শনিবার মাত্র একটি শব্দে মমতার পদক্ষেপকে ‘বাহ’ বলে বর্ণনা করেন জহর সরকার। প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদের দাবি, আন্দোলনরত চিকিৎসকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা শেষ চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুরোধ করেছিলেন তিনি।  

মুখ্যমন্ত্রী জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পরপরই এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেন সদ্য পদত্যাগী তৃণমূল সাংসদ জহর সরকার৷ মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা তাঁর শেষ চিঠির কথা উল্লেখ করে জহর সরকার লেখেন, ‘বাঃ। মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা শেষ (৮ সেপ্টেম্বর) চিঠিতে আমি বলেছিলাম: আমি গত একমাস ধৈর্য ধরে আরজি কর হাসপাতালের ঘৃণ্য ঘটনার বিরুদ্ধে সবার প্রতিক্রিয়া দেখেছি আর ভেবেছি আপনি কেন সেই পুরানো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে সরাসরি জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলছেন না।’
 
তৃণমূল সূত্রে খবর, পদত্যাগের আগে জহর সরকারকে ফোন করে নিজে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং৷ তার পরেও নিজের সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন প্রাক্তন এই আমলা৷ এ দিন মুখ্যমন্ত্রী জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পর তাৎপর্যপূর্ণ পোস্টটি করেন তিনি ৷মমতা সরাসরি চিকিৎসকদের কাছে পৌঁছে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রীকে বাহবা দেন দলের সদ্য প্রাক্তন নেতা।
 
আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে পদত্যাগ করেন জহর সরকার। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের হাতে পদত্যাগপত্র তুলে দেন ১২ সেপ্টেম্বর । তার  আগেই ৮ সেপ্টেম্বর সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। গত রবিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাংসদ পদে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।  বৃহস্পতিবার দিল্লিতে গিয়ে ধনখড়ের দফতরে হাজির হয়ে তাঁর হাতে পদত্যাগপত্র তুলে দেন জহর সরকার। 
 
গত রবিবার তাঁর অসন্তোষের কারণ জানিয়ে করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সতর্ক করে চিঠি দিয়েছিলেন জহর সরকার। আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে দলীয় অবস্থানের বিরোধিতা করে মমতাকে চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন, ‘আমার এত বছরের জীবনে এমন ক্ষোভ ও সরকারের প্রতি সম্পূর্ণ অনাস্থা আগে কখনো দেখিনি। এখন সরকার যেসব ব্যবস্থা নিচ্ছে তা খুবই সামান্য এবং অনেক দেরি হয়ে গেছে। এই প্রতিবাদ শুধু ‘অভয়া’র পক্ষে নয়, রাজ্য সরকার এবং শাসক দলের বিরুদ্ধেও।’ 
 
আরজি করে মহিলা চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় বিচারের দাবিতে আন্দোলন শুরুর পরে মমতা এই আন্দোলনকে ‘বাম-বিজেপির আন্দোলন’ বলে দাবি করেছিলেন। চিঠিতে তার নিন্দা করে জহর লেখেন, ‘আমার বিশ্বাস, এই আন্দোলনে পথে নামা মানুষেরা অ-রাজনৈতিক এবং স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রতিবাদ করছেন। অতএব রাজনৈতিক তকমা লাগিয়ে এই আন্দোলনকে প্রতিরোধ করা ঠিক হবে না। এঁরা কেউ রাজনীতি পছন্দ করেন না। তাঁরা শুধু বিচার ও শাস্তির দাবি তুলেছেন।’
 
চিঠি পাওয়ার পর জহর সরকারকে ফোন করেন মমতা। তাঁকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করেন তৃণমূল নেত্রী।  কিন্তু জহর সরকার জানান, পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর তাঁর পক্ষে আর পিছিয়ে আসা সম্ভব নয়।
 
কিন্তু, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন খোদ নিজে ধরনা মঞ্চে গিয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে যোগাযোগের পথ সহজ করে দেওয়ার মানসিকতাকে সম্মান জানিয়েছেন জহর সরকার। তিনি যেন বোঝাতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে এমন কিছুই তাঁর প্রত্যাশা ছিল।