যা স্বপ্নের অতীত ছিল ওদের, তাই এবার ধরা দিচ্ছে ওদের হাতের মুঠোয়। সেই আবেগেই এখন ফুটছে ওরা। যারা মাথার ওপরে সামান্য আচ্ছাদনের জন্য হাপিত্যাশ করেছেন, তাদেরই এবার ঠাঁই হচ্ছে বহুতল আবাসনে।
আর তাদের সামনে আলাউদ্দীনের এই আশ্চর্য প্রদীপটি ঘষে দিয়ে গিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায়। ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা দিবসের দিন বহুতল আবাসনে মাথা উঁচু করে ঢুকবেন ওরা।
রামপুরহাট পুরসভার ৪নম্বর ওয়ার্ডে গান্ধি পুকুরের ধারে ধূলাডাঙা রোডের পাশে বস্তিগড়ে বসবাস করে বেশকিছু পরিবার। ২০১৩ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি
পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রামপুরহাট আসার পথে ধূলাডাঙ্গার পরিস্থিতি সাক্ষাৎ করে সেখানেই গাড়ি থেকে নেমে যান। তিনি বস্তিবাসীদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন তাদের অসুবিধার কথা।
সেই সময়ই বস্তিবাসীরা তাদের দুর্দশার কথা জানিয়ে মাথা গোঁজার আশ্রয়ের আবেদন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। তিনি তাদের আশ্বস্ত করেছিলেন বাসস্থানের ব্যবস্থা করার।
তবে তাদের জন্য যে মুখ্যমন্ত্রী চার তলা আবাসনের ব্যবস্থা করে দেবেন তা স্বপ্নের অতীত ছিল এলাকাবাসীর। ২১ ফেব্রুয়ারি মাতৃ ভাষা দিবসে রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী তথা রামপুরহাটের বিধায়ক আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রাপকদের নিয়ে যাবেন আবাসনে তাদের নিজেদের ঘরে।
অন্য আবাসনের কাজও শেষ করা হবে দ্রুত। আবাসনের বাসিন্দাদের জল দিচ্ছে রামপুরহাট পুরসভা। তবে পৃথক পৃথক মিটারে বিদ্যুতের বিল মেটাতে হবে উপভোক্তাদের।