আইএসএল ফুটবলে এবারে ইস্টবেঙ্গল খেতাব জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নামবে বলে আত্মবিশ্বাসী কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাত। শনিবার ইস্টবেঙ্গল অভিযান শুরু করবে বেঙ্গালুরু এফসি-র বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে। তবে লাল হলুদ শিবিরের রক্ষণভাগ নিয়ে বেশ চিন্তিত কোচ। তবুও, এই বিষয়টি সেইভাবে গুরুত্ব দিতে চাইছেন না কোচ প্রকাশ্যে। তাঁর অভিমত, এই মুহূর্তে আনোয়ার আলিকে পাওয়া যাবে না তাই এই ব্যাপারে সময় নষ্ট করার প্রয়োজন নেই। যখন নিজের নিয়ন্ত্রণে যে বিষয়টি নেই তখন কোনও অজুহাত খাড়া করে লাভ নেই। আনোয়ার অবশ্যই নির্ভরযোগ্য ফুটবলার। দলে থাকলে ভালোই হতো। যেসব ফুটবলাররা এখন রয়েছেন, তাঁদের নিয়ে দলগঠন করে মাঠে নামবো।
নন্দকুমার বৃহস্পতিবার অনুশীলনের সময় অল্প চোট পেয়েছেন। সেই চোট নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। নন্দকুমার দলে থাকবেন। তবে বেঙ্গালুরু বিরুদ্ধে লাল হলুদ শিবির পাচ্ছে না প্রভাত লাকড়া ও নিশু কুমার। চোট সারিয়ে মহম্মদ রাকিপ অনুশীলনে পিরে আসাতে রাইটব্যাক নিয়ে আর অসুবিধার মধ্যে পড়তে হবে না। অনুশীলনে দেখা গিয়েছে কোচ কুয়াদ্রাত খেলোয়াড়দের নিয়ে দীর্ঘক্ষেণ সেই পিস প্র্যাকটিস করিয়েছেন। অবার দুই দলে খেলোয়াড়দের ভাগ করে ফ্রিকিক ও কর্নার থেকে গোল করার চেষ্টা করানো হয়েছে। দলের সহকারী কোচ দিমাস দেলদাগো খেলোয়াড়দের দৌড়টা প্র্যাকটিশ করান।
এদিকে দলের সঙ্গে আনোয়ার আলিকে নিয়ে গেছেন কোচ কুয়াদ্রাত। বৃহস্পতিবার কলকাতা ফুটবল লিগে ইস্টবেঙ্গলের খেলা থাকায় অপর সহকারী কোচ বিনো জর্জ শুক্রবার বেঙ্গালুরুতে উড়ে যান ফুটবলার সায়ন ব্যানার্জি, পিভি বিষ্ণু, জেসন টিকে ও আমন সিং-কে নিয়ে। অনুশীলনে ফিরে এসে মাদিহ তানাল ও ক্লেটন সিলভাকে ফুরফুরে মেজাজে দেখা গেল। তবে কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাত মনে করেন, যে কোনও দলের কাছে প্রথম ম্যাচটা কঠিন। তারপরে বেঙ্গালুরু এফসি-র বিপক্ষে মাঠে নামতে হচ্ছে। সেটা ভাবতে হবে। তারা বেশ শক্তিশালী। ঘরের মাঠে খেলবে। বাড়তি সুবিধা পাবে। সমর্থকরাও নিজ দলের খেলোয়াড়দের উৎসাহিত করবেন ভালো খেলবার জন্যে। তাই প্রতিপক্ষ বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে কৌশলগত ছকে আঘাত হানতে হবে ম্যাচ জেতার জন্যে।