পরমাণু অস্ত্র নিয়ে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। সে দেশের পরমাণু অস্ত্র তৈরির এক কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়েছিলেন কিম এমনি ছবি প্রকাশ্যে এল। সেখানে গিয়ে বিজ্ঞানীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, পরমাণু অস্ত্র ও তার অস্ত্রভাণ্ডারকে শক্তিশালী করতে আলোচনাও হয় বলে বিশেষ সূত্রে খবর।
উত্তর কোরিয়া পরমাণু অস্ত্র নিয়ে কাজ করছে, নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করছে এমন দাবি আগেও করে এসেছে আন্তর্জাতিক মহল। যার ফলস্বরূপ নানা নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে কিমের দেশের উপর। কিন্তু তিনিও যে আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় পরমাণু শক্তিধর দেশ পশ্চিমি দুনিয়াকে তেমনই বার্তা দিলেন কিম।
উত্তর কোরিয়া কঠোর নিয়মকানুনের বেড়াজালে আবদ্ধ। একটু ভুলভ্রান্তির পরিণতিই হতে পারে মারাত্মক। সামান্য ভুলেও প্রশাসনিক কর্তা থেকে আমজনতার মৃত্যুদণ্ড সেখানে স্বাভাবিক শাস্তি। প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রেও চূড়ান্ত গোপনীয়তা রক্ষা করবে এই দেশ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কঠোর নিয়মের বেড়াজালে আবদ্ধ দেশের বিষয়টি আরও গোপনীয়তায় মোড়া থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। পশ্চিমি দুনিয়া, বিশেষত আমেরিকার সঙ্গে কিমের সম্পর্কও শীতল। ফলে তিনি যে আমেরিকাকে বিশেষ আমল দেন না এমন বার্তা দিতেই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা-নিরীক্ষা বা শক্তিবৃদ্ধি খতিয়ে দেখেন, এমনটাই অভিমত কূটনৈতিক মহলের। বেশ কয়েকটি সূত্রের দাবি, উত্তর কোরিয়ার কাছে ৫০টি পরমাণু অস্ত্র রয়েছে। শুধু তাই-ই নয়, ৭০-৯০টি পরমাণু অস্ত্র বানানোর জন্য রসদও রয়েছে তাদের হাতে। পরমাণু অস্ত্রের পাশাপাশি ডুবোজাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা নিয়েও কাজ করছে তারা। ।
উত্তর কোরিয়ার এই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে জল্পনা। আমেরিকার সঙ্গে যুদ্ধের প্রস্তুতি নাকি শুধুই নিজের শক্তি প্রদর্শন ? ঘনিষ্ঠ মহলে নাকি তিনি জানিয়েছেন, আমেরিকা এবং তার বন্ধু দেশগুলি উত্তর কোরিয়া এবং তার বন্ধু দেশগুলির পক্ষে বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। তাই আত্মরক্ষার কারণেই নিজেদের স্বনির্ভর রাখা। পরমাণু অস্ত্রভান্ডারের শক্তিবৃদ্ধি করে সেই প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে সেগুলি ব্যবহারও করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে।