জুনিয়র চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। সেই পোস্টে তাঁদের বার্তা, ‘সকলের তরে সকলে আমরা…’। বুধবার রাতে স্বাস্থ্যভবন এলাকায় কর্তব্যরত এক মহিলা পুলিশকর্মী আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা দিলে সেখানে অবস্থানরত কয়েকজন জুনিয়র চিকিৎসক দ্রুত তাঁর চিকিৎসা শুরু করেন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বার্তা পোস্ট করে।
বুধবার রাতে, স্বাস্থ্যভবনের সামনে বিক্ষোভ চলার সময়ে একাধিক পুলিশকর্মী সেখানে মোতায়েন ছিলেন। হঠাৎ করেই এক মহিলা পুলিশকর্মীর শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয় এবং দুর্ভাগ্যবশত তাঁর কাছে কোনও ইনহেলার ছিল না। আন্দোলনে থাকা জুনিয়র চিকিৎসকরা তৎক্ষণাৎ চিকিৎসা শুরু করেন। প্রতিবাদী স্লোগানের মাঝেই তাঁরা মাইকে দ্রুত ইনহেলার জোগাড়ের আবেদন জানান। সেই প্রতিবাদী জমায়েত থেকেই একটি ইনহেলার জোগাড় করেন এবং অ্যাম্বুল্যান্স ডেকে সেই পুলিশকর্মীকে দ্রুত হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। পুলিশের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বলা হয়েছে, ‘আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা দ্রুত আমাদের সহকর্মীকে পরীক্ষা করেন, ইনহেলার দেন, এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় দুই জন চিকিৎসক সঙ্গী হন। সময়মতো চিকিৎসা না হলে ওই মহিলা পুলিশকর্মীর অবস্থা আরও খারাপ হতে পারত। আন্তরিক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাই চিকিৎসকদের।’
পোস্টের আগেই, ওই মহিলা পুলিশকর্মী জুনিয়র ডাক্তারদের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেছিলেন যে, তাঁদের জন্যই তাঁর অবস্থা বিপজ্জনক হয়ে ওঠেনি।
পুলিশ পোস্টটিতে ঝাড়গ্রামের একটি পথদুর্ঘটনার ঘটনাও উল্লেখ করেছে, যেখানে পুলিশ সাধারণ মানুষকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে। এক যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষের পর, পুলিশ গ্যাসকাটার দিয়ে বাসের দরজা কেটে আহত যাত্রীদের দ্রুত হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। দুই ঘটনার প্রেক্ষিতে পুলিশের বার্তা, ‘সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে…’
। অনেক পর্যবেক্ষকের মতে, আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার পর পুলিশের সঙ্গে চিকিৎসকদের আস্থার যে ঘাটতি তৈরি হয়েছে, তা দূর করতে পুলিশের এই পদক্ষেপ। তাঁরা বোঝাতে চাইছে যে, চিকিৎসকদের কাজ যেমন জরুরি পরিষেবা দেওয়া,পুলিশের কাজ তেমনই মানুষের সুরক্ষা দেওয়া । তাই, পারস্পরিক আস্থা, সহযোগিতা এবং বোঝাপড়া বজায় রাখাই সবার জন্য মঙ্গলজনক।