• facebook
  • twitter
Friday, 20 September, 2024

মেডিক্যাল কলেজগুলির সঙ্গে আজকের নবান্ন-বৈঠক বাতিল, বিজ্ঞপ্তি জারি স্বাস্থ্য দপ্তরের

কারও নাম না নিয়ে সংশ্লিষ্ট বেসরকারি হাসপাতালগুলির ভূমিকায় বিরক্ত প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, 'চারটি (বেসরকারি হাসপাতালের) নাম আমার কাছে রয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের প্রিন্সিপাল, ডিরেক্টরদের সঙ্গে বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। বৈঠকের দিনক্ষণ নির্ধারিত হয়েছিল ১২ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ আজ, বৃহস্পতিবার। বৈঠকে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, কমিশনারেটের সিপি, এমএসভিপি, সিএমওএইচদের। কিন্তু শেষ মুহূর্তে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে জুনিয়র চিকিৎসকদের তীব্র আন্দোলনের আবহে সেই বৈঠক স্থগিত করে দেওয়া হল। তবে পরবর্তী সময়ে আবার কবে এই বৈঠক হবে, সে বিষয়ে কোনও ধারণা নেই বলেই জানিয়েছেন নবান্নের এক আধিকারিক। তবে সূত্রের খবর, দিনক্ষণ নির্ধারিত না হলেও আগামী সপ্তাহে এই বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, আরজি কর আবহে মুখ্যমন্ত্রী সোমবার স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমকে নবান্ন সভাঘরে বৈঠক করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে মঙ্গলবার স্বাস্থ্যভবন থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয় মুখ্যমন্ত্রী এই বৈঠকের পৌরহিত্য করবেন। বুধবার ফের বিজ্ঞপ্তি জারি করে নির্দিষ্ট বৈঠক স্থগিত রাখার বিষয়টিই ঘোষিত হলো। বৈঠক স্থগিত করার পশ্চাতে দেখানো হয়নি নির্দিষ্ট কোনও কারণ, তা নিয়ে একাংশের মনে ধোঁয়াশাও তৈরি হয়েছে। তবে প্রশাসনিক সূত্রে খবর, বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলিতে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণেই আপাতত বৃহস্পতিবারের ওই বৈঠক স্থগিত রাখা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতেও ইঙ্গিত সেই দিকেই।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সুপ্রিম-নির্দেশে উল্লেখিত সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও অবস্থানে অনড় জুনিয়র চিকিৎসকেরা। যোগ দেননি তাঁদের কাজে। এক কথায় পরিস্থিতি বেগতিক। এই আবহে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে যে অচলাবস্থা তৈরির আশঙ্কা করছে রাজ্য, সে দিক থেকে বৃহস্পতিবারের বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারত বলেই মনে করেছিল চিকিৎসা মহল। কিন্তু বুধবার বিকালে আচমকাই ওই বৈঠক স্থগিত রাখার নির্দেশে চিন্তায় পড়েছেন হাসপাতালগুলির প্রতিনিধিগণ। উল্লেখ্য, দু’দিন আগেই নবান্ন সভাঘরে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে বেসরকারি হাসপাতালগুলির একাংশের ভূমিকা নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি টালা থানার ওসিকে একাধিক বেসরকারি হাসপাতাল ভর্তি নিতে অস্বীকার করেছিল বলে অভিযোগ।

সোমবার প্রশাসনিক বৈঠকে, কারও নাম না নিয়ে সংশ্লিষ্ট বেসরকারি হাসপাতালগুলির ভূমিকায় বিরক্ত প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, ‘চারটি (বেসরকারি হাসপাতালের) নাম আমার কাছে রয়েছে। পুলিশের এক জন ওসি রোগী হিসাবে গিয়েছিলেন। তাঁকে ভর্তি নেওয়া হয়নি। এই হাসপাতালগুলির কথা আমাদের মনে রাখতে হবে’। সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর উষ্মাপ্রকাশকে কেন্দ্র করেও চিন্তামগ্ন হয়েছিল চিকিৎসা মহল। বর্তমানে রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থা আবার কবে নিজের পুরনো ছন্দে ফিরবে, সেই দিকেই তাকিয়ে স্বাস্থ্যকর্মী থেকে জনসাধারণ।