• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

অগ্নিমিত্রা পালকে গো ব্যাক স্লোগান আন্দোলনত চিকিৎসকদের

আরজি কর কাণ্ডের ঘটনার পরে প্রথম পাঁচদিন কলকাতা পুলিশ এবং আরজি কর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অনেক তথ্যপ্রমাণ লোপাট করেছে। ঘটনা ঘটার ১৪ ঘণ্টা পর এফআইআর হয়েছে।

আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে জুনিয়র চিকিৎসকরা নিজেদের অবস্থান বিক্ষোভে অনড়। মঙ্গলবার বেলা ১২ টা থেকে টানা স্বাস্থ্য ভবনের সামনে নিজেদের ৬ দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। এদিন সেখানে পৌঁছন বিরোধী দলনেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। কিন্তু তাঁর উপস্থিতিতে ক্ষোভে ফেটে পড়ে আন্দোলনরত চিকিৎসকেরা। তাঁকে ঘিরে চিকিৎসকরা গো ব্যাক স্লোগান দিতে থাকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র শোরগোল শুরু হয় স্বাস্থ্যভবন চত্বরে। যদিও গো ব্যাক স্লোগান শোনার পর অগ্নিমিত্রা পাল সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন, ‘আমি ডাক্তারদের আন্দোলনকে সম্পূর্ণভাবে সমর্থন করি। কিন্তু আমি ডাক্তারদের আন্দোলনে যোগ দিতে আসিনি। আমি পার্টি অফিসে এসেছি। ১২টা থেকে আমার একটি সাংবাদিক বৈঠক ছিল। যেখানে জুনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলন করছেন সেটা আমাদের পার্টি অফিসের সামনে। ২ দিকের রাস্তা বন্ধ হওয়ায় গাড়ি ওদিকে রেখে হাঁটতে হাঁটতে এসেছি। আমি ওঁদের আন্দোলনে রাজনীতির রং লাগাতে আসিনি। তাঁরা আমাকে গো ব্যাক বলুক, তাঁরা আমাকে যাই বলুক। আমি কাজে এসেছি। হয়তো কোথাও ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।”

এর আগে চিকিৎসকদের লালবাজার অভিযানকে সমর্থন করার জন্য গো ব্যাক স্লোগান শুনতে হয়েছিল প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। এদিন আবার সেই একই স্লোগান শুনতে হল বিজেপি দলনেত্রী অগ্নিমিত্রা পালকেও। চিকিৎসকরা পরিষ্কার জানিয়েছেন, এই আন্দোলনে সাধারণ মানুষ হিসাবে অংশগ্রহণ করতে চাইলে কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু এই আন্দোলনকে ঘিরে কোনওরকম রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে চাইলে সেটা তারা সমর্থন করবেন না।

আরজি করে সিবিআই তদন্ত নিয়েও মন্তব্য করেছেন অগ্নিমিত্রা পাল। তিনি বলেছেন,’জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের প্রতি বিজেপির সমর্থন রয়েছে। কারণ, আরজি কর কাণ্ডের ঘটনার পরে প্রথম পাঁচদিন কলকাতা পুলিশ এবং আরজি কর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অনেক তথ্যপ্রমাণ লোপাট করেছে। ঘটনা ঘটার ১৪ ঘণ্টা পর এফআইআর হয়েছে। ডিসি নর্থ টাকা দিয়ে নির্যাতিতার পরিবারের মুখ বন্ধর চেষ্টা করেছিল। সবটাই প্রকাশ্যে এসেছে। এমনকি সিবিআই যদি বিচার না করতে পারে তাহলে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধেও আন্দোলন হবে। আমাদের উপরে বিশ্বাস রাখুন।’