এবার চিকিৎসকদের আন্দোলনকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন তৃণমূলের ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তিনি আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের তরফে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের আবেদন জানানো হয়। এমনকি রাজ্যে চিকিৎসার গাফিলতিতে ২৩ জনের মৃত্যুর অভিযোগও তোলা হয়। এই অভিযোগের পর সুপ্রিম কোর্ট অবিলম্বে জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশ সত্ত্বেও মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে স্বাস্থ্যভবন অভিযান করে নিজেদের আন্দোলনে অনড় থাকেন চিকিৎসকেরা। স্বাস্থ্যসচিব এবং মুখ্যসচিবের চিঠি সত্ত্বেও সমস্যার সমাধান হয়নি।
এবার আরজি কর হাসপাতালে সম্প্রতি কোন্ননগরের যুবকের মৃত্যুকে ঘিরে ঘটে যাওয়া ঘটনা সম্পর্কে হুমায়ুন বলেন, ‘যেকোনও মৃত্যুই বেদনাদায়ক। আরজি করের ঘটনায় অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি আমরা সবাই চাই। আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে সিবিআই তদন্তও চলছে। তবে আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা দিনের পর দিন কর্মবিরতি পালন করতে থাকলে তা আমরা মেনে নেব না।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডাক্তাররা সরকারি বেতন-ভাতা নিচ্ছেন, রোগীদের সেবা করা তাঁদের দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে আমরাও প্রতিরোধ গড়তে পারি। জনগণ মারা যাচ্ছে, আর ডাক্তাররা নিরাপদ থাকবেন, তা হবে না। ডাক্তারদেরও ঘেরাও করার অধিকার সংবিধান আমাদের দিয়ে রেখেছে।’
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী আরজি কর প্রসঙ্গে বাকিদের কথা না বলার পরামর্শ দিয়েছিলেন। জনপ্রতিনিধিদের পুজো এবং তাঁদের এলাকার কাজের দিকে মনোনিবেশ করতে বলেছিলেন তিনি। এর মধ্যেই হুমায়ুনের এই বক্তব্য রাজনৈতিক মহলে নতুন করে আলোড়ন তৈরি করেছে। এর আগে তৃণমূলের বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক ডাক্তারদের বেতন-ভাতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। এবার তৃণমূলের আরও নেতার বক্তব্যকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে তুমুল বিতর্কের ঝড় উঠেছে।