ঝাড়গ্রাম জল সম্পদ অনুসন্ধান ও উন্নয়ন দফতর (কৃষি ও সেচ) এর উদ্যোগে জেলার বিভিন্ন ব্লকের অঞ্চলে তৈরি হচ্ছে চেক ড্যাম। এই চেকড্যাম তৈরির মাধ্যমে কৃষিভিত্তিক এলাকাকে সেচ সেবিত করা হচ্ছে। কয়েকশো হেক্টর জমিতে পৌছে যাচ্ছে চাষের জন্য জল। এর ফলে সারা বছর কৃষি কাজে অনেকটাই সুবিধা পাবেন এলাকার কৃষকরা। সম্প্রতি ঝাড়গ্রাম ব্লকের রাধানগর গ্রামপঞ্চায়েতের অন্তর্গত গোপীনাথপুর গ্রামে তৈরি হয়েছে একটি চেক ড্যাম।
ঝাড়গ্রাম জল সম্পদ অনুসন্ধান ও উন্নয়ন দফতরের কৃষি ও সেচ বিভাগের পক্ষ থেকে জেলার বিভিন্ন ব্লকে সমীক্ষা চালিয়ে চেক ড্যাম গুলি করার স্থান নির্বাচন করা হয়েছিল। রাধানগর অঞ্চলের গোপীনাথপুরে চেকড্যাম তৈরির কাজ পুরোপুরি শেষ হয়েছে। কৃষকরা এই চেকড্যামের জল দু’রকম ভাবে ব্যবহার করতে পারবেন। একদিকে যেমন নিচু এলাকার কৃষকরা নালা কাটলেই জল আপনা আপনি চেকড্যাম থেকে জমিতে গড়িয়ে যাবে। তেমনই পাম্প চালিয়ে উঁচু জমিতেও জল নিয়ে যাওয়া যাবে। দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ৪৪ মিটার এই ড্যামটি করতে খরচ হয়েছে প্রায় সাতাত্তর লক্ষ টাকা। এই চেকড্যাম থেকে নিচু এলাকার প্রায় ২২০ হেক্টর জমি সেচ সেবিত হবে।
এছাড়া পাম্পের মাধ্যমে জল তুলে আরও প্রায় ষাট হেক্টর জমিতে জল দেওয়া যাবে। জানা গিয়েছে এই ড্যামের জল প্রায় চারশো হেক্টর পর্যন্ত জমিতে দেওয়া সম্ভব হবে। এখন থেকে কেবল মাত্র বর্ষার জলের উপর মানুষকে নির্ভর করতে হবে না। সারা বছরই জমিতে জল পাওয়া যাবে। এই বিষয়ে জল সম্পদ অনুসন্ধান ও উন্নয়ন দফতরের (কৃষি ও সেচ) ঝাড়গ্রাম মহকুমার সহকারী বাস্তুকার উত্তম বিশ্বাস বলেন ‘আমরা সফলভাবে চেকড্যামটি করতে পরেছি। এলাকার কয়েকশো হেক্টর জমিতে চাষের জন্য মানুষ জল পাবেন’।