আরজি কর কাণ্ড নিয়ে উত্তাপের মাঝে প্রশাসন ও দলের সদস্যদের আচরণ নিয়ে সতর্ক করলো নবান্নের। মঙ্গলবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এনিয়ে নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তের কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। আরজি কর নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও মন্ত্রী মুখ খুলবেন না। এনিয়ে যা বলার একমাত্র মুখ্যমন্ত্রীই বলবেন। এই মর্মে সকলকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। আসলে সাম্প্রতিক সময়ে দলের অনেকের মন্তব্য নতুন নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে, যা মোটেই ভালোভাবে নিচ্ছে না আমজনতা। আর তা নিয়ে সতর্ক মুখ্যমন্ত্রী। তাই অযাচিত বিতর্ক এড়াতে তাঁর এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
কখনও জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের সঙ্গে চিনের জুতো শ্রমিকদের ধর্মঘটের তুলনা, কখনও আন্দোলনকারীদের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব করা অথবা তদন্ত নিয়ে নিজেদের ধারণা প্রকাশ, নানা সময়ে দলের একাধিক নেতার মন্তব্যে যথেষ্ট শোরগোল পড়েছে। বিরোধীরা সেই বিতর্ককে আরও উসকে দিয়েছেন। জনতার প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছেন তাঁরা। যার জেরে এই মুহূর্তের সবচেয়ে স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে অত্যন্ত সাবধানী পদক্ষেপ নিল রাজ্য প্রশাসন।
অন্যদিকে,আরজি কর-কাণ্ডের আবহে শিশুদের উপর যৌননির্যাতনের অভিযোগের দ্রুত নিষ্পত্তিতে তৎপর হল রাজ্য সরকার। নবান্নে রাজ্যে পাঁচটি বিশেষ পকসো আদালত তৈরির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে রাজ্য মন্ত্রিসভা। মঙ্গলবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৌরোহিত্যে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক বসে। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। রাজ্যে ইতিমধ্যে ৬২টি পকসো আদালত রয়েছে। এর মধ্যে ৬টি ই-আদালত। নতুন আদালতগুলি তৈরি হলে পকসো আদালতের সংখ্যা বেড়ে হবে ৬৭। বৈঠকের পর রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, রাজ্যে শিশুদের উপর যৌননির্যাতনের একটি ঘটনাও যেন না ঘটে তা নিশ্চিত করতে দ্রুত বিচার দিতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আগামী দিনে রাজ্যে আরও এ-ধরনের ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট তৈরি করা হবে। বিভিন্ন দফতরের কাজের বিষয়েও এদিন কিছুটা আলোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী।