পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার খুনের ঘটনায় সেখানে একাধিক বাড়ি সিল করে দিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। মঙ্গলবার সকাল থেকে ওই গ্রামে হানা দিয়ে বেশ কিছু বাড়িয়ে তল্লাশি চালান এনআইএ আধিকারিকেরা। এদিন প্রায় ১৪টি ভাগে বিভক্ত হয়ে এনআইএ আধিকারিকরা বিভিন্ন বাড়িতে তল্লাশি চালান। তল্লাশির পর একাধিক বাড়ি সিল করে দেওয়া হয়। বিজেপি নেতা খুনে অভিযুক্ত ‘পলাতক’ তৃণমূল নেতাদের বাড়ি সিল করে দেন তাঁরা।
ময়না থানা এলাকার বাকচা গ্রাম পঞ্চায়েতের গোড়ামহল গ্রামে বিজেপির বুথ সভাপতিকে খুনের ঘটনার তদন্তে মঙ্গলবার সেখানে পৌঁছয় এনআইএ-র প্রায় ২০০ জন আধিকারিক। মঙ্গলবার সকাল থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী, পুলিশ এবং প্রশাসনের উপস্থিতিতে অভিযান চালানো হয়। এরপর বাড়িগুলি সিল করে দেওয়া হয়। তবে অভিযুক্তদের অনেকেই পলাতক রয়েছেন। জানা গিয়েছে, মনোরঞ্জন হাজরা, অমিতাভ ভঞ্জ, নবকুমার খুঠিয়া, সুজিত কর, মৌমিত্র মন্ডল, বুদ্ধদেব মন্ডলের বাড়ি সিল করে দেওয়া হয়েছে।
গত ২০২৩ সালের ১ মে সন্ধ্যায় গোড়ামহল গ্রামের বিজেপির বুথ কমিটির সভাপতি বিজয়কৃষ্ণকে তাঁর বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে কয়েকজন দুষ্কৃতী খুন করেন বলে অভিযোগ। সেই ঘটনার পর বিজেপি কর্মীর পরিবারের তরফে ময়না থানায় ৪৪ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ তদন্তে নেমে ওই তালিকার ৯ জনের নাম রেখে বাকিদের নাম বাতিল করে দেয়। পরবতী সময়ে ওই ৯ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এঁদের মধ্যে ৫ জন জামিনে মুক্তি পেয়ে যান। বাকি ৪ জন এখনও সংশোধনাগারে বন্দি।
এরপরই মৃতের পরিবার কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়। তারা এই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি করে। সেই দাবি মেনেই আদালত এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার ময়নার বাকচা গ্রাম পঞ্চায়েতের গোড়ামহল গ্রামে হানা দেয় এনআইএ-র প্রতিনিধি দল।