• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

কেন্দ্রীয়ভাবে দু’দফায় ভর্তির পরও ৫৩ শতাংশ আসন ফাঁকা কলেজগুলোতে

কেন্দ্রীয়ভাবে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষে উচ্চশিক্ষার জন্য রাজ্যের কলেজগুলিতে ভর্তি হয়েছে ৪ লক্ষ ৪৪ হাজার ০৭৬ জন পড়ুয়া। অর্থাৎ ৫৩.১৪ শতাংশ আসন এখনও ফাঁকা রয়ে গিয়েছে।

কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইনে দু’দফায় ভর্তির প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে কলেজগুলোতে। শনিবার ৭ তারিখে কেন্দ্রীয়ভাবে স্নাতক স্তরে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় সশরীরে ভেরিফিকেশন এবং মকআপ রাউন্ডের প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে।

কিন্তু তার সত্বেও দেখা গিয়েছে যে, এখনও রাজ্যের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ৫৩ শতাংশেরও বেশি আসন ফাঁকা রয়ে গিয়েছে। যেখানে এ রাজ্যের কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ভর্তির ক্ষেত্রে স্নাতকস্তরে মোট আসন সংখ্যা ৯ লক্ষ ৪৭ হাজার ৭৮৬ রয়েছে, সেখানে উচ্চশিক্ষা দফতরের তথ্যে উঠে এসেছে, কেন্দ্রীয়ভাবে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষে উচ্চশিক্ষার জন্য রাজ্যের কলেজগুলিতে ভর্তি হয়েছে ৪ লক্ষ ৪৪ হাজার ০৭৬ জন পড়ুয়া। অর্থাৎ ৫৩.১৪ শতাংশ আসন এখনও ফাঁকা রয়ে গিয়েছে। এরই মধ্যে কলেজগুলো পুরনো পদ্ধতিতে নিজস্ব পোর্টালের মাধ্যমে পুনরায় ফাঁকা আসন পূরণের প্রক্রিয়াও শুরু করেছে।

সেক্ষেত্রে শিক্ষক মহলের একাংশ মনে করছেন, কেন্দ্রীয় ভাবে ভর্তি প্রক্রিয়া চালু করতে যথেষ্ট পরিমাণ সময় নষ্ট হয়েছে। ফলে, বহু পড়ুয়া বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিতে ভর্তি হয়ে গিয়েছেন।

এছাড়াও একাংশ শিক্ষাবিদরা মনে করছেন, পুরনো পদ্ধতিতেই পড়ুয়াদের ভর্তি করাটা যুক্তিসঙ্গত। পাশাপাশি লক্ষাধিক পড়ুয়া আবেদন করার সত্ত্বেও কেন কলেজগুলোতে ভর্তি হলেন না? সে বিষয়ে সরকারকে গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত।

অন্য দিকে, মোট ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ভাবে প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেছিল। সেখানে পড়ুয়াদের ৭,২৩৯ পাঠক্রম পড়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। মোট আসন সংখ্যা ৯ লক্ষ ৪৭ হাজার ৭৮৬। কেন্দ্রীয় ভাবে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছে ৫ লক্ষ ৭৭ হাজার ৭১১ জন। মোট আবেদনের সংখ্যা ছিল ৪৪ লক্ষ ৫২ হাজার ৬২০। যেখানে মোট আবেদনকারী সংখ্যা হল, ৭ লক্ষ ৫২ হাজার ২৬০।

সর্বোপরি ৪ লক্ষ ৭৫ হাজার ১৭ জন ভর্তি প্রক্রিয়ার জন্য নির্বাচিত হয়েছিল। ভর্তি প্রক্রিয়ার শেষে দু’দফায় ভর্তি হল ৪ লক্ষ ৪৪ হাজার ৭৬ জন। অর্থাৎ, এখানেও ৩০ হাজার ৯৪১ জন পড়ুয়া সশরীরে ভেরিফিকেশনে অংশগ্রহণ করেননি। যা শতাংশের নিরিখে দাঁড়াচ্ছে ৬.৫২।