আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে তিস্তার জলের ভাগ হওয়া উচিত, দাবি জানালেন ইউনুস। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা ভারতের সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে হওয়া একটি বৈঠকে এই বক্তব্য রাখেন। তাঁর বক্তব্য, ‘আন্তর্জাতিক নিয়ম মানতে গিয়ে দেখা গেল, যে পরিমাণ জল আমরা পাচ্ছি, তা আমাদের মনোমত নয়। তার পরেও আমরা চুক্তিতে স্বাক্ষর করব, কারণ দু’দেশের সম্পর্কের স্বার্থে তিস্তার জলবণ্টন নিয়ে মতভেদের একটা মীমাংসা হওয়া জরুরি।’
বাংলাদেশে কোটা আন্দোলন-পরবর্তী ঘটে যাওয়া গণঅভ্যুত্থানের এক মাস পূর্তি হয়েছে গত ৫ সেপ্টেম্বর। সেই উপলক্ষ্যে ঢাকায় নিজের বাসভবনে এক সাংবাদিক সাক্ষাৎকারে তিস্তার জলবণ্টন নিয়ে বক্তব্য রাখেন ইউনুস। প্রসঙ্গত, অন্তর্বর্তী সরকারের জলসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দ রিজওয়ানা হাসান কিছুদিন আগেই বলেছিলেন, ‘তিস্তার জলের ন্যায্য ভাগ চেয়ে আমরা ভারতের উপরে চাপ দেব।’ এই সম্পর্কে জানতে চাইলে ইউনুস জানান, ভারতের কাছে তিস্তার জলের ন্যায্য ভাগ নিয়ে বাংলাদেশ দরবার করবে, চাপ দেবে না।
ইউনুস জানান, তিনি এই মাসেই রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদের বৈঠকে যোগ দিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন। সেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করতে চান তিনি। সার্ক দেশের সকল রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে কথা বলে সার্ককে পুনরায় সক্রিয় করে তুলতে চান তিনি, যাতে আঞ্চলিক সমস্যাগুলোর সমাধান সার্কের মাধ্যমেই সম্ভবপর হয়। বর্তমানে তাঁর লক্ষ্য মায়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পুনর্বাসন।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বাংলাদেশ-ভারতের সাংস্কৃতিক সম্পর্কের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে জাতীয় সঙ্গীতকে কেন্দ্র করে। বাংলাদেশের ইসলামি রাজনৈতিক দল জামাতের নেতা আবদুল্লাহিল আমান আজমি বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত ‘আমার সোনার বাংলা’-কে বদলের ডাক দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিরচিত এই গানটি ভারতের কথা ভেবেই লেখা। তবে, বাংলাদেশের বামপন্থী দলগুলো, যেমন কমিউনিস্ট পার্টি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি এর প্রতিবাদে সরব হয়েছে।