কথায় আছে মাঠে নামলেন, দর্শকদের মাতিয়ে রাখলেন। তারপরেই শিরোনামে নিজের নামটা লিখিয়ে ফেললেন। এমনই ঘটনা ঘটল দলীপ ট্রফি ক্রিকেট ম্যাচে। মুম্বইয়ের ছেলে মুশির খানের ব্যাট ঝলসে উঠল ভারতীয় ‘বি’ দলের বিরুদ্ধে। ভারতীয় ‘এ’ দলের স্কোর বোর্ডটা এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল, সেই জায়গা যদি থমকে যেত, তাহলে লজ্জার শেষ ছিল না। ঠিক সেই সময় শক্ত হাতে ব্যাট করে উইকেটে দাঁড়িয়ে মুশির খান দাদাগিরি দেখালেন। মাত্র ১৯ বছরের মুশির এখন থেকেই ভারতীয় দলের নির্বাচকদের কাছে জানান দিচ্ছেন আগামী দিনে জাতীয় দলের জার্সি আমার জন্য তুলে রাখা হোক।
তিনি মাঠে নামেন এবং শতরান করেন। মুশির খান এখন এটাই অভ্যেসে পরিণত করে ফেলেছেন। রঞ্জি ট্রফিতে মুম্বইয়ের হয়ে তাঁকে একের পর এক ম্যাচে শতরান করতে দেখা গিয়েছিল। এ বার দলীপ ট্রফিতেও সেটাই দেখা গেল। সরফরাজ় খানের ভাইয়ের দাপট দেখছেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচ থেকে শুরু করে নির্বাচকরা।
রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে বরোদার বিরুদ্ধে ২০৩ রানে অপরাজিত ছিলেন মুশির। তাঁর সেই ইনিংস নজর কেড়েছিল। সেমিফাইনালেও গুরুত্বপূর্ণ ৫৫ রান করেছিলেন তিনি। সেই রান ছিল তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে। দলকে ফাইনালে তোলার পিছনে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন মুশির খান। বিদর্ভের বিরুদ্ধে ১৩৬ রান করেন। লাল বলের ক্রিকেটে মুশির আবার নামান দলীপ ট্রফিতে। সেখানে ১৮১ রান করেন তিনি। দলের বেশির ভাগ ব্যাটসম্যান যখন ১০ রানের গণ্ডি পার করতে পারেননি, তখন মুশির বড় রান করে দেখিয়ে দিলেন ইচ্ছাশক্তি কাকে বলে। ১৬টি চার এবং পাঁচটি ছক্কা মারেন তিনি। একটি ছক্কা চিন্নাস্বামীর ছাদে গিয়ে পড়েছিল।
১৯ বছরের মুশির ঘরোয়া ক্রিকেটে এখনও পর্যন্ত মাত্র ছ’টি ম্যাচ খেলেছেন। দলীপের ম্যাচটি ধরে সাত ম্যাচে তিনি করেছেন ৭১০ রান। তিনটি শতরান করেছেন। তার মধ্যে একটি দ্বিশতরান। সাড়া জাগিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে শুরু করেছেন মুশির। আগামী দিনে তাঁকে ভারতীয় দলের জার্সিতে দেখতে চাইবেন সমর্থকেরা।
শুক্রবার ১৮১ রানের ইনিংসের মাধ্যমে শচীন তেণ্ডুকরের একটি নজির ভেঙে দেন মুশির। ১৯ বছর বয়সে দলীপের অভিষেক ম্যাচে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি রান করার তালিকায় তিন নম্বরে ছিলেন শচীন। তাঁকে টপকে তিন নম্বরে উঠে এলেন মুশির। শীর্ষে রয়েছেন বাবা অপরাজিত। তিনি ২১২ রান করেছিলেন। দ্বিতীয় স্থানে যশ ঢুল। তিনি ১৯৩ রান করেছিলেন। তিন নম্বরে মুশির। শচীন চলে গেলেন চার নম্বরে। তাঁর ব্যাট থেকে আসে ১৫৯ রান।