• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

আরজিকর মামলায় সিবিআই-এর আইনজীবীর ভূমিকায় ক্ষুব্ধ শিয়ালদহ আদালতের বিচারক

বিচারক এদিন এজলাসে জানান , “বিকেল সাড়ে ৪টে বাজে এখনও তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী রাস্তায়! কী করব? বেল দিয়ে দেব? এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।”

শুক্রবার কলকাতার শিয়ালদহ আদালতে উঠেছিল আরজি  কর হাসপাতালে নারকীয় ঘটনার মামলাটি। ফের জেল হেফাজতে আরজি কর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ধৃত সঞ্জয় রায়। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সঞ্জয় রায়কে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল শিয়ালদহ আদালত। তবে, এদিন সিবিআইয়ের ভূমিকায় তীব্র উষ্মা প্রকাশ করেন শিয়ালদহ এসিজেএম। এদিন ভার্চুয়াল শুনানি শুরু হয় বিকেল ৪.১০ মিনিটে। শুরুতেই সঞ্জয়ের তরফে আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। আরজি কর মামলায় বিচার চেয়ে গোটা দেশ জুড়ে চলছে প্রতিবাদ আন্দোলন। প্রায় প্রতিদিন রাজ্যে চলছে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ। সেই মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-এর আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন শিয়ালদহ আদালতের বিচারক।

শুনানি শুরু হয়ে যাওয়ার পরও এদিন দেখা মেলেনি সিবিআই-এর আইনজীবীর। এরপরই তদন্তকারী সংস্থাকে রীতিমতো ধমক দেন বিচারক। এদিন একাধিক যুক্তি পেশ করে, জামিনের আবেদন করেন ধৃতের আইনজীবী। ধৃতের আইনজীবী  এদিন আদালতে দাবি করেছেন, ‘ধৃত ব্যক্তি এই ঘটনায় যুক্ত নয়। উচ্চ আদালতেও ওই অভিযুক্তের কোনও জামিন মামলা আটকে নেই। এছাড়া তিনি কলকাতার স্থায়ী বাসিন্দা, কোনও বহিরাগত নন’। এই যুক্তিতে অভিযুক্তকে জামিন দেওয়ার আর্জি জানান তিনি।

তবে এদিনের শুনানিতে সিবিআই-এর ভূমিকায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ শিয়ালদহ  আদালতের বিচারক। এদিন ধৃতের আইনজীবী  জামিনের আবেদন জানিয়ে বলেন, ‘তদন্তে কোনও অগ্রগতি নেই। তাই জামিন চাইছি।’ বিচারক তখন জানতে চান, ‘সিবিআই-এর তরফে কে আছেন?’ সেই সময় সিবিআই-এর সহকারী তদন্তকারী অফিসার উঠে দাঁড়ান। বিচারক জানতে চান, ‘সিবিআই-এর সরকারি আইনজীবী কোথায়?’ তখন ওই মহিলা অফিসার আদালত কক্ষের বাইরে গিয়ে ফোন করেন। ফের আদালত কক্ষে ঢুকে জানান, আইনজীবী রাস্তায় আছেন। বিচারক তখন অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

বিচারক বলেন, ‘এটা সিবিআই-এর তরফে চরম গাফিলতি।’ বিচারক  এদিন এজলাসে জানান , ‘বিকেল সাড়ে ৪টে বাজে, এখনও তদন্তকারী সংস্থার  আইনজীবী রাস্তায়! কী করব? জামিন দিয়ে দেব? এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’ আদালত ক্ষোভ প্রকাশ করার কিছুক্ষণ পর শিয়ালদহ আদালতে পৌঁছন সিবিআই-এর লিগাল সেলের আইনজীবী। তিনি পৌঁছে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের আবেদন করেন। আদালত তা মঞ্জুর করেছে। অর্থাৎ আপাতত জেল হেফাজতেই থাকবে ধৃত ব্যক্তি।