চিকিৎসকদের ডাকা ‘রাত দখল’ কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার কোচবিহারের মাথাভাঙ্গা। প্রতিবাদ আটকাতে চুন দিয়ে মুছে ফেলা হয় রাস্তায় লেখা ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ গ্রাফিতি। খোদ তৃণমূল সভাপতির সামনে প্রতিবাদীদের মারধরের অভিযোগ ওঠে। বুধবার রাতের এই ঘটনার তীব্র নিন্দার এবং সমালোচনার ঝড় উঠেছে রাজ্য–জুড়ে।
গত ১৪ আগস্ট মেয়েদের রাত দখল কর্মসূচিতে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ দেখা গিয়েছিল প্রবীণ নাগরিক থেকে বছর পাঁচের নাবালিকারও। বুধবার রাতের আলো নিভিয়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে অভিনবভাবে রাত দখলের ডাক দেয় জুনিয়র চিকিৎসকরা। কলকাতা থেকে জেলায় জেলায় ছড়িয়ে পড়ে প্রতিবাদের ঢেউ।
বুধবার কোচবিহারের মাথাভাঙ্গা এলাকায় রাত ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বাড়ি, দোকানের আলো নিভিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেয় এলাকার সাধারণ মানুষ। এরপরেই ঘটে বিপত্তি। অভিযোগ, শাসকদল আশ্রিত কয়েকজন দুষ্কৃতী আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে লেখা ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘বিচার চাই’, এর সঙ্গে সঙ্গে নির্যাতিতার প্রতীকী ছবিও চুন দিয়ে মুছে দেন। এমনকি তারা মোমবাতিও নিভিয়ে দেন বলে অভিযোগ করে প্রতিবাদীরা।
হামলার একটি ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, কয়েকজন দুষ্কৃতী প্রতিবাদীদের মারধর এবং গালিগালাজ করছেন। এই ঘটনার ভিডিও নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, ‘তৃণমূল এখন মোমবাতির তাপও সহ্য করতে পারছে না। তাই তাঁরা জোর করে তা নেভানোর চেষ্টা করছে। দেওয়াল লিখন স্পষ্ট, বাংলার দখল নিয়েছে সাধারণ মানুষ।’
মাথাভাঙ্গার তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য, আরজি কর কাণ্ডে তারাও বিচার চায়। কিন্তু রাস্তায় নির্যাতিতার প্রতীকী ছবি আঁকা হয়েছিল। সেই ছবির উপর দিয়ে মানুষ হেঁটে যাবে, গাড়ি চলবে, এতে নির্যাতিতার অপমান করা হবে। সেই জন্যই তাঁর প্রতীকী মুছে ফেলা হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিরোধীরা রাজনীতি করতে চাইছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তিনজন তৃণমূল কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।