ফের কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। ১৬০টি স্কিমের পুরো টাকাটাই গায়েব করেছে দিয়েছে দলেরই লোকজন, এমনই অভিযোগ তুলল তৃণমূলেরই একাংশ। দুর্নীতির বিষয়টি সামনে আসতেই বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছে দলের নেতৃত্ব।
আপাতত একে অন্যের ঘাড়ে দায় ঠেকে মুখ বাঁচানোর চেষ্টা করছেন এলাকার তৃণমূল নেতারা। মালদহ জেলার রতুয়া-২ ব্লকের শ্রীপুর-২ পঞ্চায়েতের দুর্নীতির ঘটনা এলাকার লোকের মুখে মুখে ফিরছে। অভিযোগ, স্বচ্ছ ভারত মিশনের আওতায় আসা শৌচালয়ের টাকার পুরোটাই গায়েব করে দিয়েছে তৃণমূলের একাংশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্রীপুর-২ পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য সাবিনা ইয়াসমিন, সেলিনা ইয়াসমিন, ধুলু শেখ আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারীদের দাবি, ঘটা করে টেন্ডার ডেকে ১৬০-টি স্কিমের কাজের বরাত দেওয়া হলেও কোনও কাজই হয়নি। উল্টে পুরো টাকাটাই আত্মসাৎ করে নিয়েছে তৃণমূলের একাংশ।
শুধু টাকা আত্মসাৎই নয়, তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগও উঠেছে। পঞ্চায়েতের কাজে স্বজনপোষণেরও অভিযোগ তুলেছে দলেরই একাংশ। প্রকল্পের প্রায় ৬৩ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপযুক্ত তদন্তের দাবিতে বিডিও-র দ্বারস্থ হয়েছেন অভিযোগকারীরা।
অভিযোগকারীদের বক্তব্য, প্রথমবারের কাজে দুর্নীতির বিষয়টি জানাজানি হতেই ফের ১৬০টি স্কিমের টেন্ডার ডাকা হয়। এবার কাজ হলেও অত্যন্ত নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। রতুয়া-২ ব্লকের বিডিও কাজ পরিদর্শনে গিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন। একই সঙ্গে নির্দেশ দেন, উন্নত মানের নির্মানসামগ্রী ব্যবহার করার।
যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে ঠিকাদারের উপর দায় ঠেলেছেন শ্রীপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আনিকুল হক। তাঁর দাবি, ঠিকাদারি সংস্থাকে নির্দেশ দেওয়া হয় যাতে ভালো মানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হয়। ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির জন্য কিছু লোক অভিযোগ তুলছে। তাঁরা দলের কেউ নন।