শেষ পর্যন্ত আরজি কর হাসপাতালে নারকীয় ঘটনার পর আন্দোলন আরও জোরদার হলো বর্ধমান মেডিকেল কলেজে। শুধু জুনিয়র ডাক্তাররাই নন, সমস্ত ছাত্র ও চিকিৎসকদের আন্দোলনে উত্তাল এখন ক্যাম্পাস। রাজ্যের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি সোমবার বিকেল থেকেই আরজি কর কান্ডে ডাঃ অভীক দে, বিশাল সরকার ও অভিষিতা সাহাকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রবেশ অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে অনির্দিষ্টকালের জন্য। এই দাবিতে জোরালো আন্দোলন চলছে বর্ধমান হাসপাতাল চত্বরে। গত কয়েকদিন সন্দীপ ঘোষের গ্রেপ্তার নিয়ে বর্ধমান মেডিকেল কলেজে হাসপাতালের চিকিৎসকরা সরব ছিলেন। এবার ওই তিন ডাক্তারের হাসপাতালে প্রবেশ নিয়ে আন্দোলন নতুন মোড় নিল।
আন্দোলনরত চিকিৎসকরা জানান, সন্দীপ ঘোষের গ্রেপ্তারটা আমাদের অত্যন্ত প্রত্যাশিত ছিল এবং আমাদের একটা আন্দোলনের দাবি ছিল। জানা গেছে, সোমবার রাতেই বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ কাউন্সিলের সাথে পড়ুয়া ও চিকিৎসকদের বৈঠক হয়েছে। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ছাত্র ও চিকিৎসকদের অভিযোগের ভিত্তিতে কলেজ কাউন্সিলিং সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আরজি কর কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত বর্ধমান শহরের নারায়ণদিঘি এলাকার বাসিন্দা ডাঃ অভীক দে, বিশাল সরকার ও অভিষিতা সাহা- এই তিনজনকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রবেশ অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে অনির্দিষ্টকালের জন্য। অভীক দে, বিশাল সরকার, অভিষিতা সাহা বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে সব মহলেরই অভিযোগ। তাঁদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, ভয় ভীতি, থ্রেট কালচার ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন বেশ কিছু চিকিৎসক সহ ছাত্ররা।
এদিনের কাউন্সিলের মিটিংয়ে ওই তিন ডাক্তারকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রবেশ অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে অনির্দিষ্টকালের জন্য। এছাড়া একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। যা একুশ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পেশ করে তাঁদের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা নেবে। এদিনের এই বৈঠকে হাজির ছিলেন বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায়, হাসপাতালের সুপার ডা. তাপস ঘোষ সহ অন্যান্যরা। ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযোগ মেনে নিয়েই হাসপাতালের সুপার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। মিটিং শেষে বর্ধমান মেডিকেল কলেজের বাইরে এসে ছাত্র-ছাত্রী সহ চিকিৎসকরা ডা. অভীক দে ও বিশাল সরকারের নামে স্লোগান তোলেন।