• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

রঞ্জিতের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগের মধ্যে কোচি সেমিনারে যাচ্ছেন না শ্রীলেখা মিত্র

গত আগস্ট মাসে কোচি সিটি পুলিশের কাছে মালায়ালম ছবির পরিচালক রঞ্জিতের বিরুদ্ধে অনৈতিক যৌন আচরণের অভিযোগ আনেন। যা ২০০৯ সালে একটি সিনেমার চিত্রনাট্য নিয়ে আলোচনার সময় ঘটনাটি ঘটে। পরে তাঁকে নিয়ে নানানা বিতর্কের সৃষ্টি হয়।

আসন্ন কোচি সেমিনারে যোগ দিচ্ছেন না শ্রীলেখা মিত্র। মালায়ালম চিত্র পরিচালক রঞ্জিতের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগের মধ্যে এই সিদ্ধান্ত নিলেন টলিউড অভিনেত্রী। এ ব্যাপারে শ্রীলেখা রবিবার তাঁর সিদ্ধান্তের কথা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, ব্যক্তিগত এবং সংবাদ মাধ্যমের বিভিন্ন প্রেসারের মধ্যে তাঁর শরীর ও মনে যথেষ্ট প্রভাব পড়েছে। একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে তাঁর জীবনের সঙ্গে আগস্ট মাস কীভাবে ওতপ্রোতভাবে সম্পৃক্ত হয়ে আছে, তাঁর ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, আগস্ট মাস উল্লেখযোগ্যভাবে তাঁর জীবনকে প্রতিফলিত করেছে। তিনি বলেন, এই মাসে সংবাদ মাধ্যমর বিভিন্ন সমালোচনামূলক খবরে তাঁর মানসিক চাপ বেড়েছে। এই সময়ে তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে। অনেক চড়াই উতরাই অতিক্রম করতে হয়েছে তাঁকে। এই সময়ে মানুষের দৃষ্টি থেকে একটু দূরে এবং একা থাকতে চেয়েছেন। সেজন্য এই সেমিনারে যোগ না দেওয়ার জন্য মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।

প্রসঙ্গত গত আগস্ট মাসে কোচি সিটি পুলিশের কাছে মালায়ালম ছবির পরিচালক রঞ্জিতের বিরুদ্ধে অনৈতিক যৌন আচরণের অভিযোগ আনেন। ২০০৯ সালে একটি সিনেমার চিত্রনাট্য নিয়ে আলোচনার সময় এই ঘটনাটি ঘটে। পরে তাঁকে নিয়ে নানান বিতর্কের সৃষ্টি হয়। সংবাদ মাধ্যম থেকে সেই বিতর্ক সামাজিক মাধ্যমেও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। শ্রীলেখা অভিযোগ করেন, চিত্রনাট্যের আলোচনার জন্য রঞ্জিত তাঁর বেডরুমে ডেকে অপ্রত্যাশিতভাবে তাঁকে আপত্তিকর শারীরিক স্পর্শ করেন। তিনি তখন ঘরের বারান্দাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এরপর শ্রীলেখা রঞ্জিতের মতিগতি বুঝতে পেরে আচমকা ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যান। বিষয়টি নিয়ে আইনগতভাবে কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে সেবিষয়ে তিনি কিছুই জানতেন না। সেজন্য বিষয়টি নিয়ে প্রথমে চুপচাপ ছিলেন। এরপর তিনি আত্মস্থ হওয়ার পর পুলিশে অভিযোগ জানানোর সিদ্ধান্ত নেন।

পুলিশের ডিরেক্টর জোশি জেসফ এই ঘটনার তদন্ত করছেন। তিনি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন যে, একটি বিশেষ তদন্তকারী সংস্থা তাঁর সঙ্গে দেখা করে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করেছেন। মালায়ালাম ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান সংকটকে স্বীকার করে নিয়ে তিনি একজন ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে আরও একবার বিবৃতি দেবেন বলে জানিয়েছেন। সম্প্রতি বিচারপতি হেমা কমিটির রিপোর্ট পেশের পরে বিষয়টি উল্লেখযোগ্যভাবে গুরুত্ব পেয়েছে। ২০১৯ সালে এই কমিটির পেশ করা রিপোর্ট সম্প্রতি প্রকাশ করা হয়েছে। সেই রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, মালয়ালম ইন্ডাস্ট্রিতে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব একটি নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে দমন-পীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে।