আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় এখনও কর্মবিরতি চলছে জুনিয়র ডাক্তারদের। এবার এই কর্মবিরতি প্রসঙ্গে মন্তব্য করলেন বিধায়ক তথা অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক। তাঁর মন্তব্য নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। কাঞ্চনের মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে সমাজমাধ্যমে সরব হয়েছেন টলিপাড়ার অভিনেতা ও পরিচালকরা। কাঞ্চনের সঙ্গে বন্ধুবিচ্ছেদের পথে হেঁটেছেন অভিনেতা সুদীপ্তা চক্রবর্তী ।
সুদীপ্তা এদিন ফেসবুকে লেখেন, ‘এক সময়ের বন্ধ/সহকর্মী কাঞ্চন মল্লিক, তোকে ত্যাগ দিলাম। অনুপ্রেরণার লকারে চোখ, কান, মাথা, মনুষ্যত্ব, বিবেক, বুদ্ধি, বিবেচনা, শিক্ষা সব ঢুকিয়ে রেখে চাবিটা হারিয়ে ফেলেছিস মনে হয়। চাবিটা খুঁজে পেলে খবর দিস বন্ধু। তখন আবার কথা বলে, আড্ডা হবে।’
সুদীপ্তার এই পোস্ট প্রসঙ্গে খুব বেশি কিছু বলতে চাননি কাঞ্চন। তিনি বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কী আর বলব ! সুদীপ্তার মনে হয়েছে, বলেছেন। যে যাঁর ব্যক্তিগত মত জানাচ্ছেন। আমিও আমার ব্যক্তিগত মতই প্রকাশ করেছিলাম।’ কাঞ্চনের দাবি, সকলেরই বিরোধিতা করার গণতান্ত্রিক অধিকার রয়েছে। কিন্তু বিরোধিতা করলে সমগ্র ব্যবস্থার বিরোধিতা করতে হবে।
রবিবার কোন্নগরের এক ধরনা মঞ্চ থেকে কাঞ্চন মল্লিক জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি নিয়ে একটি মন্তব্য করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘শাসকদলের বিরুদ্ধে কর্মবিরতি পালন করছেন, ভালো ব্যাপার। কিন্ত তাঁরা সরকারি বেতন নিচ্ছেন তো, না কি নিচ্ছেন না ? এটা আমার প্রশ্ন। বোনাস নেবেন তো ? নাকি নেবেন না ?’ এই মন্তব্য ঘিরেই বিতর্ক তৈরি হয়। কাঞ্চনের বিরুদ্ধে সুদীপ্তা সহ অনেকেই সরব হয়েছেন।
কাঞ্চন আরও বলেন, ‘আজ আন্দোলনের নামে চিকিৎসকরা কর্মবিরতি পালন করছেন। সবাই বলেন, চিকিৎসক মানে ভগবান। গ্রামের মানুষ ছুটে আসেন শহরের হাসপাতালে, চিকিৎসার জন্য। আপনারা আন্দোলন করুন। তবে রোগীরা কী অপরাধ করেছেন? এমন কোনও কাজ আপনাদের করা উচিত নয়, যাতে তাঁরা ‘চিকিৎসকেরা ভগবান’ বলতে দ্বিধা করেন।’
নিজের বিরুদ্ধে সমস্ত সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে কাঞ্চন বলেন, ‘আমি শুধু এই টুকুই বলেছিলাম, চিকিৎসকরা তো বেতন পান। মুমূর্ষু রোগীরা কি পরিষেবা পাবেন না ? আমি আন্দোলন করছি বলে কাজ না করলে প্রযোজক আমাকে টাকা দেবেন? পেশাদার হিসেবে আমাকে পরিষেবা দিতেই হতে। সে তিনি চিকিৎসক হোন বা অভিনেতা বা সাংবাদিক।’