• facebook
  • twitter
Thursday, 21 November, 2024

ফের অশান্ত মণিপুর , গুলিতে নিহত ১ মহিলা, ড্রোনের সাহায্যে বোমা নিক্ষেপের অভিযোগ

গত প্রায় দেড় বছর ধরে গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত মণিপুরে শান্তিচুক্তি করে বিবদমান দুই গোষ্ঠা কুকি ও মেইতেই।  কিন্তু সেই চুক্তির কোন প্রতিফলন নেই স্বাভাবিক জনজীবনে। এক মাস না গড়াতেই ফের রক্তাক্ত উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য।  অভিযোগ, রবিবার জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হন এক মহিলা। গুরুতর জখম তাঁর মেয়ে। আরও জানা গিয়েছে, গুলির লড়াইয়ে আহত হন দুই পুলিশকর্মীও।

গত প্রায় দেড় বছর ধরে গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত মণিপুরে শান্তিচুক্তি করে বিবদমান দুই গোষ্ঠা কুকি ও মেইতেই।  কিন্তু সেই চুক্তির কোন প্রতিফলন নেই স্বাভাবিক জনজীবনে। এক মাস না গড়াতেই ফের রক্তাক্ত উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য।  অভিযোগ, রবিবার জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হন এক মহিলা। গুরুতর জখম তাঁর মেয়ে। আরও জানা গিয়েছে, গুলির লড়াইয়ে আহত হন দুই পুলিশকর্মীও। এই নিয়ে ফের সংঘর্ষের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে মণিপুরে।

 

সূত্রের খবর, রবিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ কাঙ্গপোকপি জেলার নাথুজাঙ গ্রামে গুলিবৃষ্টি শুরু হয়.  নাখুজাঙ গ্রামে শুরু হয়. স্থানীয় মানুষদের দাবি, ড্রোনের  সাহায্যে একটি বাড়ির উপর বোমা ফেলা হয়।  এই ঘটনায় আতঙ্কিত জনতা প্মরাণ বাঁচাতে ছুটোছুটি শুরু করলে শুরু হয় গুলিবৃষ্টি।  এই ছবি ভাইরাল হয় নেটদুনিয়ায়।  একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ড্রোনের সাহায্যে বাড়ির উপর বোমা ফেলা হচ্ছে। সেই সময় দৌড়ে পালাচ্ছেন এলাকার মানুষ। যদিও নিরাপত্তা বাহিনীর তরফে এই দাবির সত্যতা এখনও স্বীকার করা হয়নি। জনতা যখন নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে এদিক ওদিক ছোটাছুটি করছেন, তখন গুলিবৃষ্টি শুরু হয়। উভয়পক্ষের গুলির লড়াইয়ের মধ্যে পড়ে মৃত্যু হয় নাগংবাম সুরবালা নামে এক মহিলার। তাঁর সঙ্গেই ছিলেন তাঁর ১২ বছরের কিশোরী কন্যা। তার চোখের সামনেই ঘটে যায় এই দুর্ঘটনা। গুরুতর জখম হয় ওই কিশোরীও। 

 
কাঙ্গপোকপির বাসিন্দা মহিলাকে সেখান থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে ইম্ফলের রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। 
 
মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। কুকি – মেইতেই গোষ্ঠীর মধ্যে গুলির লড়াই চলতে থাকে। এক পক্ষ দোষারোপ করতে থাকে অন্যপক্ষকে 
 
প্রসঙ্গত, কাঙ্গপোকপি কুকি-অধ্যুষিত এলাকা। ইম্ফল পশ্চিমে মেইতেইদের আধিক্য বেশি। মেইতেইদের দাবি, ‘কুকি জঙ্গি’-রা ওই মহিলাকে খুন করেছেন। পাল্টা কুকিদের দাবি ,কাঙ্গপোকপির কুকি গ্রাম লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছিল প্রথমে মেইতেইরাই। উভয় পক্ষই দাবি করেছে, অন্য পক্ষ প্রথম গুলি চালিয়েছে। 
 
উল্লেখ্য, গত আগস্ট মাসে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে শান্তি ফেরাতে জিরিবাম জেলায় কুকি ও মেইতেইদের মধ্যে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। উভয় পক্ষই অস্ত্র ত্য়াগ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে সম্মত হয় বলে দাবি করেছিল প্রশাসন। যদিও মাত্র একটি জেলার এই শান্তিপ্রক্রিয়ার বার্তা যে মণিপুরের অন্যত্র ছড়িয়ে দেওয়া যায়নি, এদিনের ঘটনা তারই প্রমান। নীরব  প্রশাসনও।