ভারতের গ্রামীণ এলাকার দরিদ্র মানুষ আদালতে যাওয়ার এবং ন্যায়বিচারের প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রে ভয় পান। তারা শুধুমাত্র বড় বাধ্যবাধকতার মুখে পড়লে আদালতের দ্বারস্থ হন। রবিবার, দুঃখ প্রকাশ করে একথা বলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তিনি বলেন, “আমাদের দেশে ন্যায়বিচারের প্রক্রিয়াকে আরও সহজলভ্য করতে হবে যাতে প্রত্যেক নাগরিক ন্যায়বিচার পেতে পারেন, বিশেষ করে যারা আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে রয়েছেন।”
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ভারতের সুপ্রিম কোর্ট আয়োজিত জেলা বিচার বিভাগের দুই দিনের জাতীয় সম্মেলনের সমাপ্তি অধিবেশনে রবিবার তাঁর বক্তব্য রাখেন। এদিন তিনি সুপ্রিম কোর্টের পতাকা ও চিহ্নও উন্মোচন করেন।
প্রেসিডেন্ট মুর্মু এদিন বলেন , দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য ন্যায়বিচারের প্রক্রিয়া জটিল এবং ব্যয়বহুল হয়ে উঠছে। এর ফলে তাঁরা ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ন্যায়বিচার পাওয়ার প্রক্রিয়া সহজতর করার আহ্বান জানান, যাতে দেশের প্রতিটি নাগরিক আইন ও বিচার ব্যবস্থার সুরক্ষা পেতে পারেন।
এই প্রসঙ্গে তিনি বিভিন্ন আইনি সচেতনতা কর্মসূচি চালানোর গুরুত্বও তুলে ধরেন, যা সাধারণ মানুষকে তাদের আইনি অধিকার সম্পর্কে সচেতন করবে এবং তাদের আদালতে যাওয়ার ভয় কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে।
মুর্মুর এই বক্তব্য দেশের বিচারব্যবস্থা এবং গ্রামের দরিদ্রদের আইনি সহায়তার ক্ষেত্রে আরও সামনে এগিয়ে আসতে উদ্বুদ্ধ করবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।