মমতার পুলিশের অত্যাচার নৃশংস, বর্বর – নিজেদের রিপোর্টে এমনটাই জানাল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া নবান্ন অভিযানে পুলিশি দমনপীড়নের কৈফিয়ত চেয়ে শুক্রবার কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে নোটিশ পাঠিয়েছে তারা। ১৪ দিনের মধ্যে ‘অ্যাকশন টেকেন’ রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।
৯ আগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এক স্নাতকোত্তর প্রশিক্ষণরতা ডাক্তারকে নৃশংসভাবে ধর্ষণ ও খুন করা হয়, যার অভিঘাতে উত্তাল সমস্ত রাজ্য তথা দেশ। এই ঘটনার প্রতিবাদেই গত মঙ্গলবার ‘পশ্চিমবঙ্গের ছাত্রসমাজ’ নামক একটি ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্বে নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়।
এই অভিযানে যোগ দেয় ‘সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ’ নামে বিক্ষুব্ধ সরকারি চাকুরেদের একটি রাজনৈতিক মঞ্চও। এই অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ। যদিও, অনেকেই মনে করছেন, এটি বকলমে ভারতীয় জনতা পার্টিরই মদতপুষ্ট কর্মসূচি ছিল।
পুলিশি তৎপরতায় এই অভিযান সফল হতে পারেনি। ব্যারিকেড, কনটেনার ইত্যাদি দিয়ে রুখে দেওয়া হয় আন্দোলনকারীদের। উত্তেজনা সৃষ্টিকারীদের উপর লাঠিচার্জ করা হয় – ব্যবহার করা হয় কাঁদানে গ্যাস, জলকামানও।
প্রায় চারঘণ্টা ধরে এই অভিযান চলে। নবান্নের আশেপাশের রাস্তাঘাট কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। প্রবল খণ্ডযুদ্ধে উভয়পক্ষেই একাধিক আহত হন। অভিযানের পরে প্রায় ২০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এই পুলিশি উৎপীড়নের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ১৪ দিনের মধ্যে কলকাতা পুলিশের কমিশনারকে এই ব্যাপারে জবাবদিহি করতে বলেছে।