লিঙ্গরাজনীতির লড়াইতে প্রান্তিক লিঙ্গের মানুষদের জয়ের আরেক ধাপ! কুইয়্যার সম্প্রদায়ের মানুষেরা এখন থেকে ব্যাঙ্কে জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন, পারবেন কোনও অ্যাকাউন্টের নমিনি হতেও – সমাজমাধ্যমে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক এমনটাই জানায়।
শুক্রবার কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের আর্থিক পরিষেবা দপ্তর নিজেদের এক্স হ্যান্ডলে একটি সরকারি আদেশনামা পোস্ট করে। তাতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ১৭ অক্টোবর বেরোনো ‘সুপ্রিয় ওরফে সুপ্রিয় চক্রবর্তী এবং আরেকজন বনাম কেন্দ্রীয় সরকার’ মামলায় মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের রায়ের উপর ভিত্তি করে পরিষ্কার করা হচ্ছে যে কুইয়্যার সম্প্রদায়ের মানুষদের বর্তমানে ব্যাঙ্কে জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট খুলতে আর কোনো বাধা নেই।
আদেশনামায় আরও বলা হয়, কুইয়্যার সম্প্রদায়ের মানুষরা বর্তমানে হতে পারবেন অ্যাকাউন্টের নমিনিও, যাতে তিনি অ্যাকাউন্টের মালিকের অবর্তমানে অ্যাকাউন্টে থাকা অর্থের অধিকারী হতে পারেন।
আর্থিক পরিষেবা দপ্তর জানায়, এই প্রসঙ্গে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক গত ২১ আগস্ট, ২০২৪ তারিখে সমস্ত তফশিলি বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কের উদ্দেশে একটি নির্দেশনামা পেশ করে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ২০১৫ সালে সমস্ত ব্যাঙ্ককে তাদের ফর্ম এবং আবেদনপত্রে ‘তৃতীয় লিঙ্গ’ শীর্ষক একটি পৃথক কলাম রাখবার নির্দেশ দেয়, যাতে রূপান্তরকামীরা ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার সুবিধে পেতে পারেন।
প্রসঙ্গত, মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের উপরোক্ত রায়ের উপর ভিত্তি করে ২০২৪-এর এপ্রিল মাসে ক্যাবিনেট সচিবের নেতৃত্বে একটি ছয়-সদস্য বিশিষ্ট কমিটি তৈরি করে, যার মূল উদ্দেশ্য ছিলো কুইয়্যার সম্প্রদায়ের মানুষদের বিভিন্ন সমস্যা পর্যালোচনা করা।
যেখানে প্রান্তিক লিঙ্গের মানুষদের জীবন থেকে সুস্থ জীবনের ন্যূনতম অধিকারটুকুও ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে, সংখ্যাগরিষ্ঠের কাছে লিঙ্গসচেতনতা এখনও আকাশকুসুম কল্পনাই মাত্র – সেখানে সরকারের এহেন প্রগতিশীল সিদ্ধান্ত তাঁদের জন্য এক ফালি খোলা আকাশের সন্ধান দেবে, রামধনুর সমস্ত রংকে দেখবার মানসিকতা তৈরি হবে এমনটাই আশা।