বিজেপির ডাকা বনধে অশান্তি দুর্গাপুরে। বনধ পালন না করায় আজ সকালে দুর্গাপুরের দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থা (এসবিএসটিসি)-র টিকিট কাউন্টারে ভাঙচুর চালায় বিজেপি-র কর্মী সমর্থকরা। বনধের দিনে এসবিএসটিসি-র টিকিট কাউন্টার খোলা রাখতেই এই ক্ষোভ দেখায় গেরুয়া বাহিনী। হামলাকারীদের অভিযোগ, বনধের দিনে কেন টিকিট কাউন্টার খোলা রাখা হয়েছে? এই নিয়ে ভাঙচুর শুরু করেন তাঁরা।
অন্যদিকে, বিজেপির নেতা ও কর্মীরা দুর্গাপুর বেনাচিতি বাজারে দোকানপাট বন্ধ করার চেষ্টা করেন। যাঁর নেতৃত্বে ছিলেন দুর্গাপুরের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়ুই। ঘটনাস্থলে ছুটে এসে বাধা দেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ও কর্মীরা। যা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। গন্ডগোলের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে দুর্গাপুর থানার বিশাল পুলিস বাহিনী। তাঁরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
জানা গিয়েছে, এদিন দুর্গাপুরে বনধ সফল করতে রাস্তায় নামেন বিজেপির নেতা কর্মীরা। যার নেতৃত্বে ছিলেন বর্ধমান-দুর্গাপুরে বিজেপি-র সহ সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দোপাধ্যায়। তিনি প্রথমে দুর্গাপুর স্টেশন বাজারে দলের কর্মী সমর্থকদের নিয়ে বিক্ষোভ দেখান। এরপর তাঁরা এসবিএসটিসি-র টিকিট কাউন্টারে ঢুকে বিক্ষোভ দেখতে থাকেন। ঘটনার সময় সেখানে বাসের টিকিট কাটার জন্য অনেক যাত্রী লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তা দেখেই ক্ষেপে যান চন্দ্রশেখর বন্দোপাধ্যায় ও তাঁর অনুগামীরা। প্রশ্ন তোলেন, কেন কাউন্টার খোলা রয়েছে? এই নিয়ে এসবিএসটিসি-র কর্মীদের সঙ্গে তাঁদের বচসা শুরু হয়। এসবিএসটিসি-র কর্মীরা জানিয়ে দেন, তাঁরা বনধ পালনের পক্ষে নন, জোর করে তাঁদের বনধে সামিল করতে পারে না বিজেপি। এরপরই এসবিএসটিসি-র কর্মীরা ঝামেলার আশঙ্কায় কাউন্টারের জানলা বন্ধ করে দেন। তখন কাউন্টারের জানলা ভাঙচুর করেন বিজেপি নেতা ও কর্মীরা। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।