যোগীরাজ্যে রাতারাতি বদলে দেওয়া দেওয়া হল ৮টি রেলস্টেশনের নাম। লখনউ রেলওয়ে দপ্তরের তরফে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উত্তরপ্রদেশের ৮টি রেল স্টেশনের নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে।
উত্তরপ্রদেশের লখনউ ডিভিশনের কাসিমপুর হল্ট স্টেশনের নাম বদলে করা হয়েছে জয়স সিটি। জয়স রেল স্টেশনের নামকরণ হয়েছে গুরু গোরক্ষনাথ ধাম। মিসরৌলি স্টেশনের নতুন নাম হয়েছে মা কালিকান ধাম। বাণী স্টেশনের নাম বদলে হয়েছে স্বামী পরমহংস। নিহালগড়ের নাম হয়েছে মহারাজা বিজলি পাসি। আকবরগঞ্জের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে মা অহর্ব ভবানী ধাম। ওয়ারিশগঞ্জ হল্টের নাম বদলে হয়েছে অমর শহিদ ভালে সুলতান। ফুরসাতগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের নাম হয়েছে তপেশ্বরনাথ ধাম।
রাতারাতি ৮টি স্টেশনের নাম বদলে দেওয়ায় বিরোধীদের কটাক্ষের মুখে পড়ছে উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের সরকার। বিরোধীদের অভিযোগ, যোগী আদিত্যনাথের কট্টর হিন্দুত্ব নীতির প্রতিফলনই হল এ্কাধারে ৮ টি স্টেশনের নাম পরিবর্তন। বিরোধীদের মতে, যে স্টেশনগুলির নাম বদল করা হয়েছে তার বেশিরভাগ নামই ছিল মুসলিম ঘেঁষা। সেই কারণেই এই সব স্টেশনগুলির নাম পরিবর্তন করা হল। বিরোধীদের আরও অভিযোগ, পরিষেবার দিকে নজর না দিয়ে রেলস্টেশনের নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে। এই নাম বদল নীতির কঠোর সমালোচনা করেছেন সপা প্রধান অখিলেশ যাদবও। তিনি বলেন, স্টেশনের নাম পরিবর্তন না করে বিজেপি সরকারের উচিত স্টেশনগুলির উন্নতি ঘটানো এবং এবং ট্রেন দুর্ঘটনা রোধ করতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া।
উত্তরপ্রদেশে নাম বদলের উদাহরণ এই প্রথম নয়। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের আমলে ইতিহাস প্রসিদ্ধ এলাহাবাদ, মুঘলসরা স্টেশনের নাম পরিবর্তন করা হয়েছিল। এলাহাবাদের পরিবর্তে প্রয়াগরাজ, এবং মুঘলসরাই রেলওয়ে জংশনের পরিবর্তে পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় জংশন করা হয়েছিল। এর আগেও একাধিকবার বহু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা, জায়গা ও শহরের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। একই ভাবে দিল্লিতেও কয়েকটি রাস্তার নাম বদল হয়েছে।