• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

ওরা বডি চায়, আমরা বিচার চাই : মমতা

ধর্ষণে ফাঁসির শাস্তি চান তিনি। মমতা জানান, আগামী সপ্তাহে স্পিকারকে বলে বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশন ডাকা হবে। এই সংক্রান্ত বিল এনে রাজ্যপালের কাছে পাঠানোর কথাও জানান মুখ্যমন্ত্রী।

বুধবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চ থেকে বিজেপিকে আক্রমণ করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি বনধ ডেকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মসূচি বানচালের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। মঙ্গলবারের নবান্ন অভিযানে বিজেপির পাতা ফাঁদে পা না দেওয়ার জন্য পুলিশকে স্যালুট জানিয়েছেন মমতা। ধর্ষণে ফাঁসির শাস্তি চান তিনি। মমতা জানান, আগামী সপ্তাহে স্পিকারকে বলে বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশন ডাকা হবে। এই সংক্রান্ত বিল এনে রাজ্যপালের কাছে পাঠানোর কথাও জানান মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপিকে আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘জেনেশুনে বনধ ডেকেছে। ওদের বডি চাই। আমরা বিচার চাই।’

বুধবার টিএমসিপির প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে ধর্মতলার মেয়ো রোডে সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এই মঞ্চেই এদিন উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঞ্চ থেকে এদিন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসকে আর জি করের তরুণী চিকিৎসক সহ সব নির্যাতিত এবং তাঁদের পরিবারকে উৎসর্গ করেন মমতা। নির্যাতনের শিকার হওয়া প্রতিটা মহিলার প্রতি দুঃখপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

একাধিক ইস্যুতে বিজেপিকে আক্রমণ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। জেনে শুনে আজকে বনধ ডাকা হয়েছে বলে দাবি তাঁর। এদিন তিনি বলেন, ‘আসল আন্দোলনের মুখ ঘোরানোর চেষ্টা করছে বিজেপি।আজকে জেনেশুনে বন্‌ধ ডেকেছে। ওদের বডি চাই। আমরা বিচার চাই, দোষী ব্যক্তির শাস্তি চাই। আর ওরা আসল আন্দোলনে জল ঢেলে দিয়েছে। বাংলাকে বদনাম করার খেলায় নেমেছে। আমি তাদের ধিক্কার জানাই।’

তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মসূচি বানচাল করার চক্রান্ত করছে বিজেপি। মঞ্চ থেকে এই অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, ছাত্রছাত্রীদের আটকে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। বনধ ডেকে ট্রেন আটকে দেওয়া হয়েছে। বিজেপির বনধ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘কীসের বনধ। বনধ করতে হলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে করো।’

এছাড়াও মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানে পুলিশ সংযত থেকেছে বলে জানান তিনি। বিজেপির চক্রান্তের ফাঁদে পা না দেওয়ার জন্য পুলিশকে স্যালুট জানান তিনি। আর জি কর কাণ্ড নিয়ে রাজ্য সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে বলে এদিন জানান মমতা। তাঁর কথায়, ‘সাত দিনের মধ্যে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের মাধ্যমে ব্যবস্থা করে দিতাম।’

অপরাধীদের জেল থেকে ছাড়া নিয়েও এদিন সরব হন মমতা। তিনি বলেন, ‘আমার কাছে অনেক ফাইল আসে। বলা হয় ১০–১২ বছর হয়ে গেছে এবার অবরাধীদের ছেড়ে দেওয়া হোক। কেন অত্যাচারীদের ছেড়ে দেওয়া হবে ? ধর্ষকদের কেন ছাড়া হবে ?’ এদিন মেয়ো রোডে মমতার গলায় উঠে আসে কামদুনি প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, ‘কামদুনির ঘটনাতেও আমরা ফাঁসি চেয়েছিলাম। হাই কোর্টের দুই জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল।’