• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

এক স্নাতকোত্তর ডাক্তারি পড়ুয়ার ধর্ষণ-খুন ও সহস্রাধিক প্রতিবাদ মিছিল

পশ্চিমবাংলা নিশ্চিতভাবেই বাংলাদেশ হয়ে যায়নি

নিত্যানন্দ ঘোষ

স্নাতকোত্তর এক ডাক্তারি পড়ুয়ার ধর্ষণ-খুনে দেশ এইরকম তোলপাড় হবে কেউ কি ভাবতে পেরেছিলেন? ওই ডাক্তারি পড়ুয়ার ধর্ষণ-খুনের ঘটনা দুই সপ্তাহ পার হতে চলল, তবুও প্রতিবাদের লাভাস্রোত বন্ধ হল কই? বন্ধ হবেই বা কেন? প্রতিদিনকার স্বতঃস্ফূর্ত আমজনতার এই প্রতিবাদ নানা স্তরে নানা কোণে সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো বঙ্গের (পশ্চিমবঙ্গ) ভূমিতে প্রতিনিয়ত আছড়ে পড়ছে। এ দৃশ্য পশ্চিমবাংলা কোনওদিন প্রত্যক্ষ করেছিল কি? যাঁরা সংগঠিত আন্দোলন করেন কিংবা নিয়মতান্ত্রিকতার বেড়াজালে মিছিল-মিটিং সমাবেশ করেন তাঁরাও সাম্প্রতিক অতীতে কি নাগরিকদের এই স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ যা লাগাতর ঘটে চলেছে, করতে পেরেছিলেন? ক্ষমতাসীন সরকার এসব দেখেও সমস্যার সমাধান তো পরের কথা, তাঁদের কয়েকটি পদক্ষেপে নির্যাতিতার ধর্ষণ-খুনের রহস্য উদঘাটন এবং দোষীর/দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের পরিবর্তে তাঁদেরকে আড়াল করতে যা যা করার তাই করেছেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ওই ডাক্তারি-পড়ুয়ার ধর্ষণ-খুনের রহস্য উন্মোচন সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) তদন্ত চালাচ্ছে। ডাক্তারি পড়ুয়ারা আরজি করে বিক্ষোভ-অবস্থান জারি রেখেছে। ইতিমধ্যে তাঁরা স্বাস্থ্য ভবনও অভিযান করছে, ডেপুটেশন দিয়েছে। আন্দোলনরত আবাসিক চিকিৎসকদের ডেপুটেশনের দাবি মেনে ওই কলেজের নতুন অধ্যক্ষ সুহৃতা পাল, উপাধ্যক্ষ (নতুন সুপার) বুলবুল মুখোপাধ্যায়, বক্ষ রোগের বিভাগীয় প্রধান ও সহকারী উপাধ্যক্ষকেও পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ঘটে যাওয়া ওই মারাত্মক ঘটনার পরেও রাজ্যের শাসক দল কেন জানি না প্রথম থেকেই ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে বদ্ধপরিকর ছিল।

ঘটনা দ্রুত মোড় নেয় ওই কলেজ ও হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ও পড়ুয়াদের ধূমায়িত ক্ষোভের বিস্ফোরণের পরে। আর চিকিৎসকদের ক্ষোভের স্ফুলিঙ্গ দাবানলে পরিণত হয় অধ্যক্ষ সুন্দীর ঘোষ তাঁর সাঙ্গপাঙ্গ, পুলিশ প্রশাসন মায় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের একের পর এক ভুল সিদ্ধান্তের ফলে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজেই স্বাস্থ্য ও পুলিশের মতো মন্ত্রক নিজের হাতে রেখেছেন। নিশ্চিতভাবেই সব সিদ্ধান্ত তিনি নিজেই নেন। হয়তো তাঁর মতামতে তাঁরই পরামর্শদাতারা (অবসরের পরেও জনতার ট্যাক্সের টাকাতে কর্তব্যরত অবস্থায় যে পারিশ্রমিক/মাইনে পেতেন তাই পাচ্ছেন, রাজ্য সরকারের বাংলোতেও থাকছেন) কিছুটা প্রভাব রাখলেও রাখতে পারেন। সুতরাং এইরকম সুদূরপ্রসারী ঘটনার দায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসাবে তো বটেই মুখ্যমন্ত্রী হিসাবেও দায় ঝেড়ে ফেলতে পারেন না। তিনি কি সদ্য ঘটে যাওয়া প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের ঘটনায় বিচলিত? নিশ্চিতভাবেই বিচলিত। যে কারণে সভা-সমাবেশে মিছিলে অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ডের সওয়াল করছেন। তিনি কিন্তু অপরাধী/অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির কথা বলছেন না। বলছেন না এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে ভবিষ্যতে আর যাতে এই ধরনের নৃশংস ও ন্যক্কারজনক ঘটনা না ঘটে। এবং তার জন্য যা যা বন্দোবস্ত করার রাজ্য সরকার তাই করবে। তিনি ব্যস্ত কোনও একজনকে বলির পাঁঠা করে তাঁকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে জনতার ধূমায়িত ক্ষোভ প্রশমিত করতে। তা করলে জনতার ক্ষোভ ছাইচাপা আগুন হয়ে থাকবে, কিন্তু যে কোনও সময় তা জ্বলে উঠতে পারে।

মুখ্যমন্ত্রীর তো বোঝা উচিত যে আরজি করে তাঁরই স্নেহধন্য অধ্যক্ষ ও তাঁর দলবল (এক্ষেত্রে চক্র) সেখানে যে দুষ্টচক্র চালাচ্ছিলেন তা সাধারণ মানুষও জেনে ফেলেছেন। সেজন্যই তাঁদের এত রোষ ও প্রতিবাদ। রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকা বা না থাকা মানুষও বুঝে গিয়েছেন আরজি করে দুষ্কৃতীদের কার্যকলাপের কথা যা চলছে বেশ কিছুদিন ধরেই অথচ স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানেন না তা কী করে সম্ভব? এই শতাব্দীর শুরু থেকেই রাজ্যজুড়ে যে সামাজিক অবক্ষয় রাজ্যবাসীকে গ্রাস করেছে তাতে ইন্ধন আরও বেশি করে যোগাচ্ছে গত দু’দশক ধরে চলতে থাকা দুষ্কৃতীরাজ। কোনও সমাজই দুর্নীতিমুক্ত হতে পারে না। কিন্তু যে সমাজে দুর্নীতি রাষ্ট্রীয় মদতে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়ে যায় তার থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় কী? উপায় হলো জনগণের সচেতন জাগরণ। আরজি কর কাণ্ডেই কি তার বহিঃপ্রকাশ ঘটলো? হয়তো বা।

আরেকটি অভিমতকেও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তা হলো সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র সমাজের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ-প্রতিরোধ আন্দোলন যেখানে হাসিনা সরকারের পুলিশ  আন্দোলন দমনে গুলি চালিয়ে সহস্রাধিক ছাত্র সহ আমজনতাকে হত্যা করেছে! হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পরও সেনাবাহিনীর দখলে দেশ চলে যাওয়ার পরও হত্যা সংঘটিত হয়েছে। সে দেশে প্রতিবাদ আপাতত স্তিমিত হলেও প্রতিবাদের রেশ চলছেই। সে দেশে মার্কিন দেশের চক্রান্তের তত্ত্ব, রাজাকার বাহিনীর অন্তর্ঘাতের তত্ত্ব বা মৌলবাদী শক্তির উত্থানের তত্ত্ব সবকিছু মেনে নিয়েও হাসিনার স্বৈরাচারী হয়ে ওঠা বা ছাত্র বিক্ষোভ দমনে পুলিশের গুলিচালনায় শ’য়ে শ’য়ে ছাত্রের শহিদ হওয়া কি উড়িয়ে দেওয়া যাবে? যে কারণে চিনের শাসক গোষ্ঠীর তিয়েনমেন স্কোয়ারে ছাত্রদের আন্দোলন গুঁড়িয়ে দেওয়ার বিরোধিতা রাজনীতি সচেতন নাগরিকরা করে থাকেন বাংলাদেশ সেক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হবে কীভাবে? ব্যতিক্রম হয়নি বলেই সচেতন নাগরিকরা হাসিনা সরকারের ছাত্র আন্দোলন দমনে অবিবেচনা-প্রসূত পুলিশের গুলিচালনা ও সহস্রাধিক ছাত্র সহ নাগরিকের হত্যার বিরোধিতা করেছেন বা করবেন।

পশ্চিমবাংলা নিশ্চিতভাবেই বাংলাদেশ হয়ে যায়নি। কিন্তু বাংলাদেশের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনের ছোঁয়া এই বাংলায় লাগলে আশ্চর্যের কী! আশ্চর্যের হয়নি বলেই রাজ্যজুড়ে ডাক্তারদের আন্দোলন স্বতঃস্ফূত আমজনতার আন্দোলনে পরিণত। যে কারণে ১৪ আগস্ট ২০২৪-এর রাত দখলের আন্দোলন স্বতঃস্ফূর্ততায় নারীর সমানাধিকার, নারী স্বাধীনতা ও নারীর সম্মান মর্যাদা রক্ষার আন্দোলনে পর্যবসিত হয়েছিল। কোন মন্ত্রে সেদিন উই ওয়ান্ট — জাস্টিস / আমরা চাই — বিচার) স্লোগানে মুখরিত মিছিল সেদিন রাত্রি দখলে নিয়েছিল? যে সম্ভ্রান্ত মহিলারা/নারীরা রেশনের লাইএন / কেরোসিন তেলের লাইনে কিংবা ভোটের লাইনে জীবনে কোনওদিন দাঁড়াননি, মার্সিডিজ-সুমো-বেলোরো-ইনোভা-সুইফট ডিজায়ার সহ আরও দামি গাড়ি ছাড়া পথে বেরোন না, কোন মন্ত্রবলে সেই তাঁরাই রাত দখলে কাতারে কাতারে পদব্রজে উই ওয়ান্ট – জাস্টিস স্লোগানে রাজপথ মুখরিত করলেন? মুখ্যমন্ত্রী কি একবারও তা ভেবে দেখবেন না?

বিশেষজ্ঞ কলমচিরা রাজ্যের এই ঘটনাকে তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারের ভুল নীতি সংক্রান্ত (যা এই বাংলার নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ, সমাজতাত্ত্বিক, ঐতিহাসিক, বিসিষ্ট সাময়িক পত্রের সম্পাদক, বিশিষ্ট সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ এখনও বলে থাকেন) সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সঙ্গে বর্তমান আন্দোলনকে গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। দু’টি আন্দোলনকে বুঝতে হবে সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রেক্ষিত থেকে। প্রবাদ আছে ‘হিস্টরি রিপিটস ইটসেলফ’ (ইতিহাসের পুনরাবর্তন ঘটে)। সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সঙ্গে আরজি করের ‘উই ওয়ান্ট – জাস্টিস’-এর দাবিতে আন্দোলনের সত্যিই কি কোনও মিল আছে? এক কলমচি সম্প্রতি তাঁর কলামে এক লেখায় দু’টি আন্দোলনের সমান্তরাল টেনেছেন। একটি বিশেষ বিন্দুতে (ক্ষমতা দম্ভ) তিনি দু’টি আন্দোলনকে প্রায় এক জায়গায় এনে তুলনা টেনেছেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, সেদিনকার (১৯০৭-০৮) যত না বেশি স্বতঃস্ফূর্ত ছিল তার চেয়ে অনেক বেশি সংগঠিত হয়ে উঠেছিল। আরজি করের আন্দোলন এখনও স্পতঃস্ফূর্ত, রাজনৈতিক দলগুলি এখনও এই আন্দোলনের সংগঠিত চেহারা প্রদান করতে পারেনি। ফলে প্রতিদিন যে প্রতিবাদ মিছিল হচ্ছে, তা নতুন নতুন চেহারার সেখানে কোনও সংগঠিত রাজনৈতিক দলের ভূমিকা নেই।

এ রাজ্যের বামপন্থীরা ও ওই দলগুলির গণ সংগঠন, ছাত্র সংগঠন নানা মিছিল-মিটিং করছে ঠিক কিন্তু তাদের সাংগঠনিক অবস্থাটা দুর্বল। তা সত্ত্বেও বামপন্থী ছাত্র ও যুবদের এই বিষয়ে লাগাতার আন্দোলন, মিছিল-মিটিং প্রশংসার দাবি রাখে। ওদিকে প্রধান বিরোধী দল (ভারতীয় জনতা পার্টি) বেশ ক’দিন জল মেপে পরে আন্দোলনে নেমেছে। সত্যি কথা বলতে কী গেরুয়াধারী দল যে সমস্ত রাজ্যে এককভাবে বা জোটে থেকে ক্ষমতায় আছে, ততের রাজ্যে নারী-ধর্ষণ, ধর্ষণ-খুন, দুর্নীতি, দুষ্কৃতী কার্যকলাপ নিয়মিত ঘটে চলেছে। এই সব বন্ধে ওই দলের রাজ্য সরকারগুলি কোনও পদক্ষেপ আজ পর্যন্ত নিতে পেরেছে? সুতরাং যে রাজ্যে ক্ষমতায় থাকব সেখানে যা খুশি করার লাইসেন্স থাকবে আর যেখানে থাকবে না সেখানে ঘোলাজলে মাছ ধরে অরাজকতা সৃষ্টি করব, এই দ্বিচারিতা সাধারণ মানুষ ভালো চোখে দেখেন? সুতরাং এই রাজ্যে গেরুয়াধারী দলের চক্রান্ত বুঝে নিতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।

অন্যদিকে রাজ্যে যে দ্রুততায় আরজি কর কাণ্ডে সিবিআইকে দিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালত (সুপ্রিম কোর্ট) তদন্তে নিয়োগ করেছে সেই দ্রুততায় কি তারা তদন্ত শেষ করে অপরাধীদের চিহ্নিত করে রিপোর্ট পেশ করতে পারবে? অতীতে এ রাজ্যে বহু বিষয়ে (ইস্যু) সিবিআই তদন্ত লাগু হয়েছে কিন্তু আজ অবধি সেই সব বিষয়ে তদন্তের কিনারাও হয়নি বা রিপোর্টও জমা পড়েনি। সাধারণের মনে এ আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে সেটিং-এর দ্বারা রাজ্য সরকার (বামেরা যা অভিযোগ করে থাকেন) এই ইস্যুতেও ছাড়া পেয়ে যাবে। কোনও এক সন্দীপ ঘোষ বা সঞ্জয় রায়কে বলির পাঁঠা করে? অপরাধী চক্র যেমন আছে, তেমনই থেকে যাবে? সাধারণ আমনতার কাছে বিবেচ্য নয় যে নর্থ বেঙ্গল লবি না সাউথ বেঙ্গল লবি স্বাস্থ্য নিয়ে চূড়ান্ত কথা কে বলছে। আমজনতা এটিই চান যে স্বাস্থ্য সহ অন্যান্য নাগরিক পরিষেবা তাঁদের নাগরিক অধিকারেই পাওয়ার অধিকারী। তাঁদেরই বাড়ির স্নাতকোত্তর স্তরে পড়ুয়া ডাক্তার ধর্ষণ-খুনের ন্যায় বিচার পাওয়ার অধিকারী। সরকার কি তাদের দিতে পারবেন? যদি না পারেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী পদত্যাগ করুন।

সবচেয়ে আশ্চর্যের হলো, আরজি করের নৃশংস ঘটনা ঘটার পরে দুই সপ্তাহ অতিক্রান্ত। এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকারের তরফে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার ছাড়া বলার মতো আর কোনও পদক্ষেপ হয়নি। আর সর্বোচ্চ াদালত নিয়োজিত সিবিআই ওই কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ সহ কয়েকজন কয়েক ঘণ্টা সিজিও কমপ্লেক্সে জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়া বলার মতো কিছু তদন্ত এগোয়নি। আশ্চর্যজনকভাবে আপাত নিরীহ এক স্নাতকোত্তর পড়ুয়া ছাত্রীর ধর্ষণ-খুনের মোটিভ জানা যায়নি। এরই মধ্যে বামেদের ও বিরোধীদের আন্দোলন মঞ্চও ভেঙে দেওয়া হয়েছে তাঁরা যাতে সংগঠিত হতে না পারেন। ১৪ আগস্ট রাত দখলের দিনে একদল দুষ্কৃতী আরজি করের ভেতরে তাণ্ডব চালিয়েছে, জুনিয়র আবাসিক চিকিৎসকদের মেরে রক্তাক্ত করেছে, ধর্নামঞ্চ ভেঙে দিয়েছে। এসব সত্ত্বেও হবু চিকিৎসকদের প্রতিবাদ যেমন বন্ধ হয়নি, নাগরিক প্রতিবাদ মিছিলও বন্ধ হয়নি। প্রতিবাদ প্রতিরোধ চলুক ঠিক ততদিন, যতদিন পর্যন্ত না স্নাতকোত্তর ডাক্তার পড়ুয়াদের ধর্ষণ-খুনের ন্যায় বিচার পাচ্ছেন তাঁর পরিবার ও প্রতিবাদী জনতা। একই সঙ্গে প্রতিবাদ, মিছিল, মিটিং, সমাবেশ বজায় রেখেও ডাক্তার বন্ধুরা অসুস্থদের চিকিৎসায়ও নিয়োজিত থাকুন।