বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনে কথা হয় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। সোমবার সেই সময় উঠে আসে বাংলাদেশে বসবাস করা হিন্দুদের প্রসঙ্গও । এমনটাই দাবি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁদের নিরাপত্তার বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন মোদি, দিল্লির এক বিবৃতিতে এমনটাই জানানো হয়। কিন্তু দুই রাষ্ট্রপ্রধানের আলোচনার পর আমেরিকার তরফে বাংলাদেশ নিয়ে কোনও কিছুই উল্লেখ করা হয়নি। বাংলাদেশ প্রসঙ্গ সম্পূর্ণ এড়িয়ে গিয়েছে হোয়াইট হাউস। ফলে এই নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। মোদীর দাবি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
বাইডেনের সঙ্গে ফোনে কথার পরে মোদি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছিলেন, ‘‘বাইডেনের সঙ্গে আজ ফোনে কথা হয়েছে। ইউক্রেনের পরিস্থিতি-সহ বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে আমাদের মতবিনিময় হয়েছে। আমরা বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেছি এবং দ্রুত স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্ব দিয়েছি। বিশেষ করে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উপরে।’’
তবে এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বাংলাদেশের কোনও প্রসঙ্গের উল্লেখ ছিল না। সেখানে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘প্রেসিডেন্ট জোসেফ আর বাইডেন, জুনিয়র আজ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক পোল্যান্ড ও ইউক্রেন সফরের পাশাপাশি আলোচনায় এসেছে সেপ্টেম্বরে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের প্রসঙ্গ।’’
গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে ভারতে চলে আসেন শেখ হাসিনা। তার পর থেকে সেখানে হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার এবং ধর্মস্থান ভাঙচুরের একাধিক অভিযোগ উঠেছে। মো্দি বিষয়টি নিয়ে আগেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। গত ১৫ আগস্ট ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দিল্লির লালকেল্লায় দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মোদি।
এখর্য প্রশ্ন উঠেছে, যেখানে প্রধানমন্ত্রী মোদি নিজে জানিয়েছেন, দিল্লির বিবৃতিতে উল্লেখ রয়েছে, সেখানে হোয়াইট হাউস কীভাবে বাংলাদেশের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এড়িয়ে গেল?
বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে চাপে রয়েছে দিল্লি। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ নিয়ে মোদি-বাইডেন ফোনালাপ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়। কিন্তু আমেরিকা যেভাবে এই প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়েছে তাতে স্পষ্ট বাংলাদেশ নয়, তাদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ইউক্রেন।