• facebook
  • twitter
Thursday, 19 September, 2024

ইউক্রেনে ফের মিসাইল হামলা রাশিয়ার, হত কমপক্ষে ৪

মধ্য ইউক্রেনের ক্রিভি রিহ শহরের একটি হোটেলকে বোমাবর্ষণ করে ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়া হয়

২৬ আগস্ট ইউক্রেনের পাওয়ার গ্রিডে আক্রমণ করেছিল রাশিয়া। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফের ইউক্রেনে হামলা চালাল মস্কো। মঙ্গলবার প্রতিবেশি দেশের ওপর ফের মিসাইল-ড্রোন আক্রমণ করে তারা।

মধ্য ইউক্রেনের ক্রিভি রিহ শহরের একটি হোটেলকে বোমাবর্ষণ করে ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় প্রাণ হারান দু’জন। ক্রিভি রিহের পূর্বে অবস্থিত জাপোরিজ্ঝিয়া শহরে ড্রোন আক্রমণে প্রাণ হারান আরও দুই ইউক্রেনীয় ব্যক্তি।

ইউক্রেনের স্থানীয় সেনা প্রশাসন টেলিগ্রাম প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে জানায়, ড্রোন আক্রমণ ঠেকাতে রাতারাতি রাজধানী শহর কিয়েভের বায়ুসুরক্ষা ব্যবস্থাকে বারংবার সক্রিয় করা হয়। কিয়েভের সেনা প্রশাসনের কর্তা সের্হি পোপকো মঙ্গলবার সকালে জানান, ইউক্রেনীয় বায়ুসুরক্ষা ব্যবস্থা অন্তত ১৫টি ড্রোনকে গুলি করে নামায়।

তিনি টেলিগ্রামে জানান, “ইউক্রেনের রাজধানী লক্ষ্য করে যা যা এসেছে, সবই ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।”

ইউক্রেনীয় বায়ুসেনার তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, রাতভর হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। মোট ৫টি মিসাইল এবং ৬০টি ড্রোনকে ধ্বংস করা হয়েছে।

সোশাল মিডিয়া রাশিয়ার পোস্ট থেকে জানা যায়, তারা মোট ৯১টি প্রজেক্টাইল ছাড়ে, যার মধ্যে ছিল ১০টি মিসাইল এবং ইরানের নকশা করা ৮১টি ড্রোন।

ইউক্রেনের বায়ুসেনা জানায়, তারা ঝাঁকে ঝাঁকে ড্রোন নিক্ষেপণ এবং রুশ বিমানবন্দর থেকে টু-৮৫ কৌশলী বোমারু বিমান এবং মিগ-৩১ সুপারসনিক ইন্টারসেপ্টর বিমানের উড়ান নথিবদ্ধ করেছে।

ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির জেলেনস্কি নিজের এক্স হ্যান্ডলে জানান, ‘আমরা নিঃসন্দেহে রাশিয়াকে এই আক্রমণ এবং অন্যান্য আক্রমণেরও জবাব দেব। মানবিকতার বিরুদ্ধে করা অন্যায়কে শাস্তি দিতেই হবে।”

সোমবার, অর্থাৎ ২৬ আগস্ট রাশিয়া ২০০-এরও বেশি মিসাইল এবং ড্রোন আক্রমণ করে, যাতে নিহত অন্তত ৭ জন। মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেন এবং এই আক্রমণকে ‘গর্হিত অপরাধ’ বলে আখ্যা দেন।

তিনি জানান, ‘ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার ক্রমাগত আক্রমণ এবং সেখানকার মানুষদের অন্ধকারে তলিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টাকে আমি সর্বতভাবে, তীব্রভাবে ধিক্কার জানাই। আমি পরিষ্কারভাবে জানাতে চাই, রাশিয়া কখনোই ইউক্রেনে সাফল্যলাভ করবে না, এবং ইউক্রেনের মানুষের উদ্দীপনাকে কখনোই দমানো যাবে না।’