• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

নবান্ন অভিযান বেআইনি, দাবি এডিজি আইন-শৃঙ্খলার

আইনি কোনও অস্তিত্ব নেই 'পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ' সংগঠনের! দাবি রাজ্য পুলিশের

বেআইনি ‘নবান্ন অভিযান’! আইনি কোনও অস্তিত্ব নেই ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’ সংগঠনের! মঙ্গলবারের নবান্ন অভিযান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে এমনই দাবি রাজ্য পুলিশের।

উল্লেখ্য, আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় নির্যাতিতার সুবিচার এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে মঙ্গলবার, নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। এই প্রতিবাদ কর্মসূচিকে ঘিরে সোমবার নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করেন রাজ্যের এডিজি আইন-শৃঙ্খলা মনোজ বর্মা এবং এডিজি (দক্ষিণ) সুপ্রতিম সরকার। তাঁদের মতে, রাজ্য পুলিশের কাছে এই ধরনের কোনও কর্মসূচির অনুমতি চাওয়া হয়নি।

প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারের প্রশাসনিক দফতর নবান্ন উচ্চ নিরাপত্তার আওতাধীন। সেই কারণে স্বাভাবিকভাবেই নবান্ন সংলগ্ন এলাকায় সারা বছরই কড়া থাকে পুলিশি নিরাপত্তা। সে বিষয়ে এডিজি আইন-শৃঙ্খলা মনোজ বর্মা বলেন, “নবান্নের নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো থাকে। তাই কোনভাবেই অনুমতি না নিয়ে কর্মসূচি করা যায় না। এক্ষেত্রে আমাদের কাছে কোনও রকম অনুমতি চাওয়া হয়নি। তাই এই কর্মসূচি বেআইনি।”

তবে নবান্ন অভিযানকে শান্তিপূর্ণ বলা হলেও, অভিযানের মধ্যে অশান্তি ছড়ানো হতে পারে বলেও মত পুলিশকর্তাদের। যদিও, নবান্ন ব্যতীত যেকোনও স্থানে মিছিলের অনুমতি চাইলে তা দেওয়া হবে বলে জানান মনোজ বর্মা। অন্যদিকে, মঙ্গলবার ইউজিসি নেটের পরীক্ষা রয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই শহরের বাইরে থেকে অসংখ্য পরীক্ষার্থী আসবেন পরীক্ষা দিতে। সেক্ষেত্রে, মিছিলের কারণে তাদের যেন কোনও ভাবেই অসুবিধার সম্মুখীন হতে না হয়, তারও ব্যবস্থা করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। পাশাপাশি, পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে অতিরিক্ত বাসের ব্যবস্থাও করা হয়েছে বলে জানান এডিজি আইন-শৃঙ্খলা মনোজ বর্মা। একই সঙ্গে, সাধারণ মানুষকে এই মিছিল থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন তিনি।

অন্যদিকে, ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’ নামে কোনও সংগঠনের আইনি অস্তিত্ব নেই বলে জানান এডিজি (দক্ষিণ) সুপ্রতিম সরকার। সংগঠনের সোশ্যাল মিডিয়া পেজ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এখানে যারা সদস্য তারা বেশিরভাগই বিজেপি এবং এভিবিপির সদস্য। পাশাপাশি, সংগঠনের আইনি অনুমতি চাওয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। তাঁর মতে, “আরজি কর ইস্যুতে যারা এতো বড় আন্দোলন করতে চায়। তাদের পুলিশের অনুমতি চাওয়া কি উচিত নয়?” তা ছাড়া, সর্বভারতীয় স্তরে পরীক্ষার দিনে এতো বড় আন্দোলনকে ছাত্র স্বার্থ বিরোধী বলেও মন্তব্য করেন তিনি।