প্রতিরক্ষা উৎপাদন কেন্দ্র খোলার জন্য মার্কিন সংস্থাদের ভারতে আমন্ত্রণ জানালেন রাজনাথ সিং। গত শনিবার রাতে ওয়াশিংটন শহরে বিভিন্ন নামী মার্কিন প্রতিরক্ষা সংস্থার কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।
বৈঠক চলাকালীনই তাঁদের ভারতে উৎপাদন কেন্দ্র খোলার জন্য রাজনাথ আমন্ত্রণ জানান। তাঁর লক্ষ্য, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বিভিন্ন যৌথ উদ্যোগ এই সংস্থাগুলি যাতে শুরু করতে পারে এবং ভারত হয়ে ওঠে তাদের রপ্তানির এক বিকল্প ঘাঁটি।
বর্তমানে রাজনাথ সিং চারদিনব্যাপী এক সফরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন, যেখানে তিনি মার্কিন প্রতিরক্ষাসচিব লয়েড অস্টিন, মার্কিন জাতীয় সুরক্ষা উপদেষ্টা জেক সুলিভান এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আধিকারিকদের সঙ্গে জরুরি নানা বৈঠক সারবেন।
গত শুক্রবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে হওয়া প্রতিরক্ষা-সংক্রান্ত একটি বাণিজ্যিক চুক্তি অনুমোদন করে, যার দ্বারা ৫২.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে ভারতকে ‘এমএইচ-৬০আর সি হক’ হেলিকপ্টারের জন্য সাবমেরিনরোধী যুদ্ধের প্রয়োজনীয় নানা সরঞ্জাম, যেমন ‘সোনারবয়’ বিক্রি করা হবে। তার পরেরদিনই, অর্থাৎ শনিবার রাতে রাজনাথ একটি বৈঠকে মার্কিন প্রতিরক্ষা সংস্থাদের এই আমন্ত্রণ জানান।
নামকরা বিভিন্ন মার্কিন প্রতিরক্ষা সংস্থা, যেমন বোয়িং, জিই, জেনারেল অ্যাটমিকস, জেনারেল ডায়নামিক্স ল্যান্ড সিস্টেমস, এলথ্রি হ্যারিস, লকহিড মার্টিন, রেথিওন টেকনোলজিস, রোলস রয়েস, থেয়ারমাহান ইত্যাদি। এছাড়াও, আইডিয়াফোর্জ, টাটা সন্স, টিসেকেন্ডের মতো ভারতীয় সংস্থাও উপস্থিত ছিল, সঙ্গে কোহেন গ্রুপের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
বৈঠক চলাকালীন আলোচনায় উঠে আসে ভারতের সঙ্গে তাঁদের পরবর্তী পরিকল্পনা, প্রকল্পের নানা কথা, সেই সংক্রান্ত মূল্যবান নানা মতামতও দেন তাঁরা।
রাজনাথ জানান, ভারতে যৌথ উদ্যোগে জিই ৪১৪ এরো-ইঞ্জিন উৎপাদিত হলে ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তি সুদৃঢ় হবে। তাঁর মতে, মোদি সরকারের প্রগতিশীল নানা সংস্কারের কারণেই ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে নানাবিধ উন্নতিসাধন সম্ভব হয়েছে, যার ফলস্বরূপ যৌথ-উৎপাদন এবং যৌথ-উন্নয়নের নানা পথ খুলে গিয়েছে।