• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

মহালয়া পর্যন্ত চলবে বৃষ্টিপাত

মহালয়া পর্যন্ত চলবে বৃষ্টিপাত। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় অবস্থার সামান্য উন্নতি হলেও ভিজবে দুই বঙ্গই, জানাচ্ছে হাওয়া অফিস।

প্রতীকী ছবি (Photo: iStock)

মহালয়া পর্যন্ত চলবে বৃষ্টিপাত। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় অবস্থার সামান্য উন্নতি হলেও ভিজবে দুই বঙ্গই, জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। চলতি বছর শাস্ত্রমতে ঘােড়ায় আগমন হচ্ছে দেবী দুর্গার। শাস্ত্র অনুযায়ী, ঘােড়াতে আগমন হলে চারিদিকে ছত্রভঙ্গ পরিস্থিতি তৈরি হয়।

এই শাস্ত্ৰবাক্যের সঙ্গে বর্তমানের পরিস্থিতি বিস্তর মিলে যাচ্ছে। টানা বৃষ্টিপাতের দরুন মণ্ডপ বাঁধার কাজে কাজ করতে পারছেন না শিল্পীরা। এদিকে প্রায় একই রকম অবস্থা মৃৎশিল্পীদের। কাঠামাে শুকনাে হবে কিভাবে? তা ভেবেই বৃষ্টির পর ঠান্ডা আবহাওয়াতেও ঘুম উড়েছে তাদের। এদিকে পুরাে পরিস্থিতির জেরে মাথায় হাত পুজো উদ্যোক্তাদের।

উত্তর কলকাতার এক পুজো উদ্যোক্তার কথায়, পুজোর দিন কি হবে সেটা ভাবার সময় রয়েছে। কিন্তু ভেবে কূলকিনারা পাওয়া যাচ্ছে না। চলতি বছর দেরিতে প্রবেশ করেছে বর্ষা। এমনকি মরশুমের প্রথমের দিকে একেবারেই বৃষ্টিপাত হয়নি। কিন্তু সেপ্টেম্বরের শুরু থেকেই টানা বৃষ্টি হচ্ছে কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গেরও বুধবারগুলিতে।

এদিকে মঙ্গলবার থেকে বুধবার পর্যন্ত কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলায় একনাগাড়ে বৃষ্টিপাত হয়ে চলছে। বুধবার আলিপুর আবহাওয়া দফতরের উপ-অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আগামী ৪৮ ঘন্টায় দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমবে কিন্তু বৃহস্পতিবার বাঁকুড়া, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান সহ পশ্চিমের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

শুধু দক্ষিণবঙ্গ নয়, উত্তরবঙ্গেও ভারী বৃষ্টিপাত হবে বলে আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর। আবহাওয়াবিদদের কথায়, মহালয়া পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে পুজোর মুখে বৃষ্টিপাতের দরুন ঘুম উড়েছে প্রশাসনের। বুধবার পুরভবনে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের তত্ত্বাবধানে পুজোর প্রস্তুতি নিয়ে একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সমস্ত মেয়র পারিষদ, বরাে চেয়ারম্যানরা, কেএমডিএ, কলকাতা ট্রাম কোম্পানির কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা। পুজোর সময় বৃষ্টিপাত হলে কিভাবে প্রশাসনের তরফে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হবে, সেই বিষয়ে এদিনের বৈঠকে আলােচনা করা হয়।

মেয়র জানান, ৭৬ নম্বর ওয়ার্ড সহ দক্ষিণ কলকাতার বেশ কিছু এলাকাকে ‘হাই অ্যালার্ট’ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বুধবার রাতে তিনি নিজে রাস্তা মেরামতির কাজ পরিদর্শন করবেন। যদি বৃষ্টিপাত না হয়, সেক্ষেত্রে শহরের সমস্ত রাস্তা সারাইয়ের কাজ পুজোর আগে শেষ হবে, এমনটাও জানান মেয়র।