আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় তার কোনও প্রতিক্রিয়া জানা না জেলার মহারাষ্ট্রের বদলাপুরে দুই শিশু স্কুল ছাত্রীর উপর যৌন নির্যাতনের ঘটনায় সপরিবারে পথে নামলেন উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা। যদিও শিশু নিগ্রহের প্রতিবাদে নিশ্চুপ হয়েই মুখে কালো মাস্ক লাগিয়ে প্রতিবাদে নেমেছেন উদ্ধব।
শনিবার শিবসেনা, শরদ পাওয়ারের এনসিপি এবং কংগ্রেস রাজ্যে যৌথভাবে বনধের ডাক দিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের আপত্তিতে বনধ করা যায়নি। তবে তিন দলই শনিবার সকাল থেকে পথে নেমেছে প্রতিবাদে।
মুম্বইয়ের অদূরে দাদারে অবস্থিত পার্টির সদর দফতরের সামনে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে মুখে কালো মাস্ক পরে সপরিবারে বিক্ষোভ-সমাবেশ করছেন। প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি নানা পাটোলে গিয়েছেন ঠাণেতে। ঠাণে মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডের এলাকা। কংগ্রেস তাঁকে বিপাকে ফেলতে সেখানে বিরাট সমাবেশের ডাক দিয়েছে। সময় করতে পারলে রাহুল অথবা প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর সেখানে যাওয়ার কথা। অন্যদিকে, শরদ পাওয়ার সভা করবেন পুণেতে।
বদলাপুরের সঙ্গে আরজি করের ঘটনায় পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকার মিল আছে। শিশুদের অভিভাবকদের অভিযোগ তারা স্কুলে নালিশ জানালেও কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। দুপুরে থানায় গেলে তাদের ১২ ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয়।
উদ্ধবরা বদলাপুর নিয়ে সরব হলেও আরজি কর প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান। যদিও ইন্ডিয়া জোটের প্রধান শরিক কংগ্রেসের দুই শীর্ষ নেতা রাহুল এবং প্রিয়ঙ্কা পশ্চিমবঙ্গের ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁরা অবশ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তৃণমূলকে আক্রমণ করেননি। উদ্ধব, শরদ পাওয়াররা বাংলার প্রশাসনকেও নিশানা করেনি। অনেকেই মনে করছেন, জোটধর্ম মেনেই চুপ থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। তৃণমূলের সঙ্গে উদ্ধবের শিবসেনা এবং শরদের এনসিপির বোঝাপড়াও ভাল।