• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

শীঘ্রই মুক্তির আলোয় সাজার এক তৃতীয়াংশ সময় জেলে থাকা বন্দিরা 

একই অপরাধে দ্বিতীয় বা তৃতীয়বারের জন্য গ্রেফতার হওয়া বন্দিদের ক্ষেত্রে এই রায় কার্যকর হবে না। দুই. খুন-ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রেও কার্যকর হবে না এই রায়

prisoner's bail

কেউ জেলে রয়েছেন ৫ বছর তো কেউ ১১। প্রত্যেকে বিচারাধীন আসামি। তাদের কারুর অপরাধীই প্রমাণিত হয়নি এখনো। অনেক সময়  চুরি-ডাকাতি, মারধরের মত ঘটনাতেও অভিযুক্তরা রয়েছেন। যদি তাদের সাজা ঘোষণা হয় দেখা যাবে সাজার বেশি মেয়াদ তারা ইতিমধ্যেই জেলে কাটিয়ে ফেলেছেন। এরকম বন্দিদেরই এবার শীঘ্রই মুক্তির আলো দেখাতে চলেছে সুপ্রিম কোর্টের এই আদেশ। সাজার এক তৃতীয়াংশের বেশি সময় জেলে থাকা বিচারাধীন বন্দিদের জামিনে মুক্তি দিতে নিম্ন আদালতগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আগামী দু-মাসের মধ্যে এই প্রক্রিয়া শেষ করতে বলেছে তারা।
শুক্রবার, বিচারপতি হীমা কোহলি ও সন্দীপ মেহতার বেঞ্চ তাদের রায় প্রদানের সময় বলেন, ‘বিচারের নামে কাউকে দিনের পর দিন জেলখানায় আটকে রাখা মানবাধিকার হরণ।’ তবে তাদের রায়ের সঙ্গে দুটি শর্ত আরোপ করেছে তারা, এক. অভিযুক্তকে প্রথমবারের অপরাধী হতে হবে। অর্থাৎ একই অপরাধে দ্বিতীয় বা তৃতীয়বারের জন্য গ্রেফতার হওয়া বন্দিদের ক্ষেত্রে এই রায় কার্যকর হবে না। দুই. খুন-ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রেও কার্যকর হবে না এই রায়।
প্রসঙ্গত, মানবাধিকার সংগঠনগুলি দীর্ঘদিন ধরেই এই দাবি জানিয়ে আসছিল যে বিনা বিচারে আটক মানবাধিকার হরণের ভয়ঙ্কর নজির গড়ে তুলেছে। জেলগুলিতে যত বন্দি থাকার কথা আছে তার দুই থেকে তিনগুণ। ফলে চরম অসাস্থ্যকর পরিবেশে থাকতে হচ্ছে বন্দিদের।
এদিন, বেঞ্চ জেল কর্তৃপক্ষকে বলেছে, বন্দিদের মধ্যে যারা প্রথমবার অপরাধী এবং সাজার এক তৃতীয়াংশের বেশি সময় জেলে আছে তাদের তালিকা নিম্ন আদালতে পেশ করতে। আদালত রাজ্য সরকারগুলিকে বলেছে, দু মাস পর এই ব্যাপারে স্টেটাস রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে।