• facebook
  • twitter
Thursday, 19 September, 2024

আলবিদা, আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা ধাওয়ানের

শনিবার সকালে সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে এক আবেগঘন বার্তায় ক্রিকেট ছাড়ার কথা জানান ধাওয়ান।

আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা করলেন ভারতীয় ওপেনার শিখর ধাওয়ান। শনিবার সকালে সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে এক আবেগঘন বার্তায় ক্রিকেট ছাড়ার কথা জানান ধাওয়ান।

২০২২ সালের ডিসেম্বরে দেশের হয়ে শেষ খেলেছেন ধাওয়ান। অবসরের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে ধাওয়ান ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, আমার ক্রিকেট-যাত্রা শেষ হল। অসংখ্য স্মৃতি এবং কৃতজ্ঞতা সঙ্গে রইল। যে ভালবাসা এবং সমর্থন পেয়েছি, তার জন্য অশেষ ধন্যবাদ। জয় হিন্দ।

কয়েক বছর আগে পর্যন্ত ভারতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম স্তম্ভ ছিলেন ধাওয়ান। রোহিত-ধাওয়ানের জুটির ওপর ভর করে অনেক ম্যাচ জিতেছে ভারত। ২০১৩ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন তিনি। বাঁ-হাতি ধাওয়ান ফর্মে থাকলে বোলারদের অসহায় আত্মসমর্পণ ছাড়া উপায় থাকত না।

২০১৩ সালে অভিষেক হয় শিখর ধাওয়ানের। দেশের হয়ে ১৬৭টি ওয়ানডে, ৩৪টি টেস্ট এবং ৬৮টি টি-২০ খেলেছেন এই দাপুটে ওপেনার। একদিনের ক্রিকেটে ১৭টি সেঞ্চুরি এবং ৩৯টি অর্ধশত রানের মালিক ‘গব্বর’। ওয়ান-ডে তে ৬৭৯৩ রান, টেস্টে ২৩১৫ রান এবং টি-২০ ক্রিকেটে ১৭৫৯ রান করেছেন ধাওয়ান।

ধাওয়ান ১২২টি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ম্যাচ খেলে ৪৪.২৬ গড়ে ৮৪৯৯ রান করেছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে ২৫টি সেঞ্চুরি এবং ২৯টি অর্ধশতরান রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। লিস্ট এ-তে ৩০২টি ম্যাচ খেলে ৪৩.৯০ গড়ে ১২০৭৪ রান করেছেন ধাওয়ান। ৩০টি সেঞ্চুরি ও ৬৭টি হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন ধাওয়ান।

ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে পোস্ট করা একটি ভিডিয়োতে ধাওয়ান বলেন, আমি এমন এক জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি, যেখানে যখন আমি পেছনে ফিরে তাকাই, কেবল স্মৃতি, স্মৃতিই উঠে আসে। আর যখন সামনের দিকে তাকাই, একটা নতুন জীবন দেখতে পাই। ভারতের হয়ে খেলা সবসময়ই আমার স্বপ্ন ছিল এবং আমি তা পূরণ করতে পেরেছি। এজন্য আমি অনেকের কাছে কৃতজ্ঞ। প্রথমত, আমার পরিবার, আমার শৈশবের কোচ এবং তারপরে আমার দল যাদের সঙ্গে আমি এত বছর খেলেছি। নতুন পরিবার, খ্যাতি, ভালোবাসা সবই পেয়েছি।

অবসরের ঘোষণা করে তিনি বলেন, আমি আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা করছি। ক্রিকেট জীবনকে বিদায় জানানোর পর আমার মনে শান্তি ফিরেছে। দেশের হয়ে অনেক ম্যাচ খেলেছি। আমি শুধু নিজেকে এটুকুই বলি যে, দেশের হয়ে আর খেলতে না পারার জন্য মন খারাপ করার দরকার নেই, বরং সুযোগ পেয়েছিলে এটা ভেবে খুশি থাক।