শুক্রবার রাজ্যে জুড়ে বিজেপির থানা ঘেরাও কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে সংঘাত হয় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের। আরজিকর কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে পথে নেমেছে বিজেপি। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য ভবন অভিযানের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। সেই অভিযানকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় সল্টলেকে। গ্রেফতার হন শুভেন্দু এবং দলের রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য সহ কয়েকজন। তারপরেই থানা ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়। শুক্রবার বিজেপির এই কর্মসূচি শুরু করে নন্দীগ্রাম থানায়। আর তার ফলে উত্তেজনা ছড়ায়। বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা থানার গেট খুলতে যাওয়ায়, পুলিশের সঙ্গে প্রথমে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন।
বিজেপি নেতা মেঘনাথ পাল বলেন, “নন্দীগ্রামে শতাধিক বিজেপি নেতাকর্মীর নামে ভূরি ভূরি মিথ্যা মামলা রয়েছে। এই রাজ্যের পুলিশ দলদাসে পরিণত হয়েছে। যার ফল স্বরূপ রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকেও গ্রেফতার করতে পিছপা হয়নি তারা।” অন্যদিকে উত্তর চব্বিশ পরগনার সন্দেশখালিতে বিজেপি নেত্রী রেখা পাত্রের নেতৃত্বে থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি টিকিটে প্রার্থী হয়েছিলেন রেখা। কিন্তু তিনি পরাজিত হন। রেখা বলেন,” আরজিকরের ঘটনা নিয়ে সারা রাজ্যে আরও প্রতিবাদ হবে। যতদিন যাবে, তত প্রতিবাদ বাড়বে।”
এদিন হুগলির চুঁচুড়া থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। চুঁচুড়া ঘড়ির মোড় থেকে মিছিল করে তারা চুঁচুড়া থানার সামনে হাজির হন। থানার গেট খুলে ভেতরে ঢোকারও চেষ্টা করে। আর তাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। এরপর বিজেপি কর্মীরা থানার সামনে বসেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। শুক্রবার বিজেপির থানা ঘেরাও কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ড শিলিগুড়িতেও।
এদিন বিজেপির ডাবগ্রাম ফুলবাড়ী ৪ ও ৫ নম্বর মন্ডলের কর্মী সমর্থকরা এনজেপি থানা ঘেরাও করেন। থানার সামনে ব্যারিকের থাকায় প্রথমে বিজেপি কর্মীরা বাধা পান। তারপরে ব্যারিকেট ভেঙে এগোতে গেলেই শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। এরপর বিজেপি কর্মীরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান। বিজেপি নেতা বাপি সরকার বলেন,”মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসক হিসাবে ব্যর্থ। তাঁর প্রশাসনে মহিলারা আর নিরাপদ নন। তাই এক্ষুনি তাঁর পদত্যাগ করা উচিত। পদত্যাগ করা উচিত স্বাস্থ্যমন্ত্রীর। আরজিকর কাণ্ডে দোষীদের গ্রেপ্তার করার বদলে এই সরকার তাদের আড়াল করার চেষ্টা করছে। এর বিরুদ্ধেই আমাদের আন্দোলন।”