যেকোন খাদ্যসামগ্রী বেচার আগেই কোম্পানিগুলি ভুরি ভুরি প্রশংসা শুরু করে সেই পণ্য নিয়ে। বিশেষ করে দুদ্ধজাত খাদ্যসামগ্রী যেমন ঘি, মাখন, দই, পনিরের বিজ্ঞাপণের পাশাপাশি তার প্যাকেটও থাকে নানান কথা। তাতে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় পকেটে উল্লেখিত অনেক কিছুরই বাস্তবিকতা থাকে না। তবে এবার আর কোনো প্রকার বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া যাবে না কোনো রকম দুদ্ধজাত খাদ্যসামগ্রীর ওপর।
কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফুড সেফটি অ্যান্ড স্টান্ডার্ডস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বা এফএসএসএআই-এর নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে দুধ, ঘি, মাখন, দই সহ দুগ্ধজাত খাদ্যসামগ্রীর বিশুদ্ধতা প্রচারে এ-ওয়ান এবং এ-টু ছাপ লাগানো যাবে না। এমনকি ভবিষ্যতেও এই গ্রেড দেওয়া যাবে না। খাদ্যগুণ সুরক্ষা সংক্রান্ত সংস্থা এই মর্মে নির্দেশ জারি করেছে। সংস্থা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এই ধরনের দাবি ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস আইন, ২০০৬ অনুযায়ী বিধিসম্মত নয়। দুধ ও দুগ্ধজাত সামগ্রী প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিকে আগে থেকে ছাপানো প্যাকেটের ক্ষতি দূর করতে তাদের আগামী ৬ মাস সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তবে ই-কমার্সগুলিকে এই মুহূর্তে ওয়েবসাইট থেকে এই তকমা মুছে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে সংস্থা। এই নির্দেশ কঠোরভাবে মেনে চলার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
এফএসএসএআই-এর এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন বহু ফুড কোম্পানিই। যেমন, পরাগ মিল্ক ফুড কোম্পানির চেয়ারম্যান দেবেন্দ্র শাহ। তিনি জানান, এফএসএসএআইয়ের এই নির্দেশ সঠিক সিদ্ধান্ত। তাঁর মতে, এই দুই তকমা লেখা বাজারিকরণের প্রচারসর্বস্বতা ছাড়া আর কিছু নয়। সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে একটি চমকমাত্র।