• facebook
  • twitter
Thursday, 19 September, 2024

পুঞ্চ থেকে গ্রেফতার পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দা, লস্কর-ই-তৈবার গাইড হিসে‍বে কাজ করার অভিযোগ

শুক্রবার সকালে পুঞ্চ সেক্টর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে জাহের হুসেন শাহ নামে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের এক বাসিন্দাকে। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ব্যক্তি লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি গোষ্ঠীর গাইড হিসেবে কাজ করতেন। কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গা চিনিয়ে দেওয়া, পথ ‍বাতলে দেওয়ার কাজ করতেন এই গাইড। এদিন পুঞ্চ সেক্টর থেকে সেনা‍বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন জাহের হুসেন শাহ।

লাগাতার জঙ্গি হামলায় তটস্থ জম্মু–কাশ্মীর উপত্যকা। গত দেড়–দুমাস সময় ধরে একের পর এক জঙ্গি হামলায় একাধিক সেনার মৃত্যু হয়েছে। নিকেশ হয়েছে ‍বেশ কয়েকজন জঙ্গি। এরই মধ্যে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে ‍বড় সাফল্য পেল ভারতীয় সেনাবাহিনী। শুক্রবার সকালে পুঞ্চ সেক্টর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে জাহের হুসেন শাহ নামে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের এক বাসিন্দাকে। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ব্যক্তি লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি গোষ্ঠীর গাইড হিসেবে কাজ করতেন। কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গা চিনিয়ে দেওয়া, পথ ‍বাতলে দেওয়ার কাজ করতেন এই গাইড। এদিন পুঞ্চ সেক্টর থেকে সেনা‍বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন জাহের হুসেন শাহ।
 
বৃহস্পতিবার, পীর পাঞ্জালের দক্ষিণে বিশেষ বাহিনী মোতায়েন করেছিল নিরাপত্তা বাহিনি। সম্প্রতি, নতুন করে জম্মুকাশ্মীরে দানা ‍বাঁধছে সন্ত্রাসবাদ। আর একে ইন্ধন দিতে সন্ত্রাসবাদের নয়া নকশা তৈরি করেছে পাকিস্তান সেনা, এমনটাই খ‍বর। পাক বাহিনীর এই পরিকল্পনাকে বানচাল করে দিতেই পীর পাঞ্জালের দক্ষিণে পাঠানো হয়েছে বিশেষ বাহিনীকে।
 
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খ‍বর, পাকিস্তানি সেনার মদতপুষ্ট জঙ্গিদের মোকাবিলা করতে ১০টি ব্যাটেলিয়ন এবং স্পেশাল ফোর্সের ৫০০ সদস্যকে পীর পাঞ্জালের দক্ষিণে মোতায়েন করেছে ভারতীয় সেনা এবং অন্যান্য সশস্ত্র বাহিনী। পীর পাঞ্জালের দক্ষিণের দুর্গম এলাকায়, পাহাড়ের গুহায় এবং জঙ্গলের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় ঘাঁটি গাড়ছে সন্ত্রাসবাদীরা। মাটির তলায় সুড়ঙ্গ খুঁড়েগোপন আস্তানায় লুকিয়ে থাকছে তারা। এই সমস্ত গোপন ঘাঁটি খুঁজে সেগুলি ধ্বংস করার জন্য সক্রিয় ভুমিকা পালন করছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীগুলি। সূত্রের খ‍বর , ঘাঁটিগুলি খুঁজে সেখানেই জঙ্গিদের নির্মূল করার কৌশল নেওয়া হয়েছে। এই সমস্ত গোপন আস্তানা থেকে বেরিয়ে নীচে নেমে এসে অ–সামরিক নাগরিকদের উপর যাতে তারা হামলা চালাতে না পারে, তা নিশ্চিত করতেই এই কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে।


শুধু তাই নয়, এই অঞ্চলে গোয়েন্দাদের জালও জোরদার করা হচ্ছে। নতুন পুলিশ কর্তাদের মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকায় শক্তি বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় পুলিশও। অতীতে এই এলাকায় জঙ্গিদের উপস্থিতি ছিল না বললেই চলে। তাই সেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতিও ছিল যৎসামান্য। এরই সুযোগ নিয়ে, গত এক-দেড় মস ধরে একের পর এক হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসবাদীরা। তাদের হামলায় এখনও পর্যন্ত শহিদ হয়েছেন সেনাপুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। রেহাই পাননি সাধারণ মানুষও। অনেক ক্ষেত্রেই সাধারণ মানুষকেই নিশানা করতে দেখা গিয়েছে জঙ্গিদের। উদ্দেশ্য স্পষ্ট, জনমানসে আতঙ্ক তৈরি করা।