প্রথম জাতীয় মহাকাশ দিবসে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার গোটা দেশজুড়ে বিশেষ এই দিনটি পালন করা হচ্ছে। ২০২৩ সালে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছে ইতিহাস তৈরি করে ভারতের চন্দ্রযান-৩। সেই ঘটনাকে স্বীকৃতি দিতেই জাতীয় মহাকাশ দিবস পালন করার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার।
এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছেন, সকলকে জানাই প্রথম জাতীয় মহাকাশ দিবসের শুভেচ্ছা। ভারতে মহাকাশ বিজ্ঞানীদেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। মোদী লিখেছেন, আমরা আমাদের মহাকাশ বিজ্ঞানীদের বড় বড় মাইলস্টোনগুলিকে স্মরণ করতে চাই। এই দিনটা তাঁদের অবদান স্মরণ করার দিন।
প্রধানমন্ত্রী মোদি আরও বলেন, মহাকাশ গবেষণাকে জোরদার করা আমাদের অন্যতম লক্ষ্য। আমাদের সরকার এই ক্ষেত্র নিয়ে ভবিষ্যতের একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং আগামী দিনে আমরা আরও কিছু সিদ্ধান্ত নেব।
চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানে একটি প্রপালশন মডিউল (২,১৪৮ কেজি), বিক্রম নামে একটি ল্যান্ডার (১,৭২৩.৮৯ কেজি) এবং প্রজ্ঞান (২৬ কেজি) নামে একটি রোভার ছিল। এর আগে বিশ্বের তিনটি দেশ (রাশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চিন) চাঁদে সফট ল্যান্ডিং করে। সেই তালিকায় চতুর্থ স্থান দখল করল ভারত।
বিভাগ, মন্ত্রক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিজ্ঞান সংস্থা, এনজিও এবং জনসাধারণকে নিয়ে আজ, শুক্রবার দেশব্যাপী জাতীয় মহাকাশ দিবস উদযাপিত হচ্ছে। প্রথম জাতীয় মহাকাশ দিবসের থিম – ‘চাঁদ স্পর্শ করার সময় জীবনকে স্পর্শ করা: ইন্ডিয়াস স্পেস সাগা’।
এই উপলক্ষে ইসরোর চেয়ারম্যান ডঃ এস সোমনাথ বলেন, অমৃতকালে আমরা ভবিষ্যতের মহাকাশ অভিযানের রূপরেখাও দেবে। চন্দ্রযান-৩ এর সাফল্যকে স্মরণও করেন তিনি।
ভারত ২০২৫ সালের শেষ অর্ধে একজন ভারতীয়কে মহাকাশে পাঠাবে। ২০৪০ সালের মধ্যে চাঁদে প্রথম ভারতীয়র অবতরণ করার কথা রয়েছে। ভারতের প্রথম মানব স্পেসফ্লাইট মিশন
ভারতের প্রথম হিউম্যান স্পেসফ্লাইট মিশন, গগনযান – আগামী বছর যাত্রা শুরু করবে। কোভিডের কারণে এই অভিযান পিছিয়ে যায়। ভারত রোবট ফ্লাইট পাঠানোরও টার্গেট নিয়েছে। ২০২৫ সালে বায়ুমিত্র নামে একটি মহিলা রোবটকে মহাকাশে পাঠানো হবে।