• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

ছত্তিশগড়ে ফের মাওবাদী হামলা, হত ৩

গত কয়েক মাসে লাগাতার সাত-আটবার মাওবাদী হানা রুখেছে ছত্তিশগড় পুলিশ, সেনা অ্যান্টি মাওবাদী অপারেশনে দক্ষ ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি)।

প্রতীকী ছবি (Photo: IANS)

গত কয়েক মাসে লাগাতার সাত-আটবার মাওবাদী হানা রুখেছে ছত্তিশগড় পুলিশ, সেনা অ্যান্টি মাওবাদী অপারেশনে দক্ষ ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি)। গত মাসেই পরপর দু’বার হামলা চালিয়েছে মাওবাদীরা। মাসের প্রথমে ছত্তিশগড়ের রাজনন্দগাঁওতে, মাঝামাঝি বস্তারের নারায়ণপুর জেলার দুর্ভেদ্য অবুঝমাড় জঙ্গলে।

মঙ্গলবার সকালে কাঙ্কের জেলার জাতীয় সড়কের উপর ডিজেল ভর্তি ড্রাম উড়িয়ে দিল মাওবাদীরা। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তিন গ্রামবাসীর। এলাকা ঘিরে ফেলেছে পুলিশ নিরাপত্তারক্ষীরা। শুরু হয়েছে গুলির লড়াই।

পুলিশ জানিয়েছে, এলাকায় টহল দেওয়া সেনার গাড়িকেই নিশানা করা হয়েছিল। তবে বেঁচে গিয়েছেন জওয়ানরা। রাস্তার উপর সেনার একটি সাদা গাড়ি উল্টে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। তবে বিস্ফোরণে তিন গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়েছে।

গত মাসেই নারায়ণপুরের অবুঝমাড়ের জঙ্গলে মাওবাদী দমন অভিযানে নেমেছিল সেনা-পুলিশের যৌথ দল। নারায়ণপুর থেকে প্রায় ১৯ কিলােমিটার ভিতরে এই জঙ্গলে মাওবাদীদের ক্যাম্পে হামলা চালানাের জন্য অনেকদিন ধরেই আঁটঘাট বাঁধছিল সেনা ও পুলিশের ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড। গােপন সূত্রে খবর ছিল, এই শিবিরে একজোট হয়ে নতুন করে নাশকতার ছক কষেছে মাওবাদীরা। সেনার সঙ্গে এনকাউন্টারে নিকেষ হয়েছিল পাঁচ মাওবাদী।

গত ৩ আগস্ট, রাজনন্দগাঁও জেলার সিতাগােলা গ্রামের জঙ্গলের কাছে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে জোরদার গুলির লড়াই চলে মাওবাদীদের। ডিআরজি জানায়, ওই এনকাউন্টারে সাত মাওবাদী খতম হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর পরিমাণে আগ্নেয়াস্ত্র। ছত্তিশগড়ের সুকমা, বস্তার, দন্তেওয়াড়া, বীজাপুরে ইতিমধ্যে বড়সড় সাফল্য পেয়েছে সেনা ও ছত্তিশগড় পুলিশের মাওবাদী দমন শাখা।

গত বছর বীজাপুরে যৌথবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে এক শীর্ষ নেতা সহ ১০ মাওবাদী খতম হয়। দু’পক্ষের গুলির লড়াইয়ে নিহত হন এক পুলিশকর্মীও। পুলিশ জানায়, ওই মাওবাদী নেতার নাম ছিল হরিভূষণ। যে দশ মাওবাদী নিহত হয়েছিল, তাদের মধ্যে ৬ জনই মহিলা। যেখানে গুলির লড়াই হয়, সেই জায়গা থেকে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ।