• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

বাংলাদেশের জেল থেকে দেশে ফিরতে ৩৭ বছর

হারিয়ে যাওয়া জীবনের মূল্যবান ৩৭ বছর কার থেকে চাইবেন তাই ভেবে পাচ্ছেন না শাহজাহান। সেই ২৫ এ থেমে যাওয়া জীবন চলতে শুরু করল ৬২তে। ২৫ বছরের শাহজাহান সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আত্মীয়ের বাড়ি গিয়েছিলেন, সেখানেই থেমে  গিয়েছে তার তার ঘড়ির কাটা। তারপর শাহজাহান ওরফে বিলাশের দীর্ঘ ৩৭ বছর পর ফিরলেন নিজের দেশ ভারত নিজের জন্মভূমি ত্রিপুরায়।

হারিয়ে যাওয়া জীবনের মূল্যবান ৩৭ বছর কার থেকে চাইবেন তাই ভেবে পাচ্ছেন না শাহজাহান। সেই ২৫ এ থেমে যাওয়া জীবন চলতে শুরু করল ৬২তে। ২৫ বছরের শাহজাহান সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আত্মীয়ের বাড়ি গিয়েছিলেন, সেখানেই থেমে  গিয়েছে তার তার ঘড়ির কাটা। তারপর শাহজাহান ওরফে বিলাশের দীর্ঘ ৩৭ বছর পর ফিরলেন নিজের দেশ ভারত নিজের জন্মভূমি ত্রিপুরায়। সেই ৩৭ বছর আগেই যে তাকে গ্রেফতার করে বাংলাদেশের পুলিশ তারপর জীবনের বাকি দিনগুলি কেটে যাবে ভিনদেশের কালকুঠুরিতেই। বাংলাদেশের সে ভয়াবহতা স্মরণ করে ব্লাশ বলেন, “গ্রেপ্তার করার পর ১৪ দিন ধরে নৃশংস অত্যাচার করা হয় আমাকে। ১১ বছর জেলবন্দি থাকার পর, আমায় অন্য জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে মিথ্যে মামলায় ২৬ বছর ধরে বন্দি করে রাখা হয় আমাকে।”

সালটা ১৯৮৮। বাংলাদেশের কুমিল্লায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন ত্রিপুরার সোনামুড়া দুর্গাপুরের বাসিন্দা শাহজাহান। ঠিক সেই দিনই তাঁর আত্মীয়ের বাড়িতে হানা দেয় বাংলাদেশ পুলিশ। অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় ২৫ বছর বয়সি ওই যুবককে। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী বিচারে ১১ বছরের সাজা হয় শাহজাহানের। তবে পরিস্থিতি এত সহজ ছিল না। কুমিল্লার কেন্দ্রীয় কারাগারে ১১টা বছর কালকুঠুরিতে বসে তিনি দিন গুনেছেন বাড়ি ফেরার। তবে মুক্তি এত সহজ ছিল না। সাজার মেয়াদ পার হলেও অবৈধভাবে জেলে বন্দি করে রাখা হয় তাঁকে। বাড়িতে তাঁর স্ত্রী-সন্তানও শাহজাহানের মুক্তির আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন।

ঠিক সেই সময় ত্রিপুরার এই যুবকের দুর্দশার খবর পায় ত্রিপুরার এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা জারা ফাউন্ডেশন। সংস্থার চেয়ারম্যান মোশাহিদ আলির উদ্যোগে অবশেষে আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে ত্রিপুরায় নিজের ভিটেয় ফিরলেন শাহজাহান। মঙ্গলবার কুমিল্লার বিবির বাজার-সোনামুড়া শ্রীমন্তপুর চেকপোস্ট দিয়ে উভয় দেশের আইনি পদ্ধতি মেনে পরিবারে হাতে হস্তান্তর করা হয় শাহজাহানকে। ৩৭ বছর পর স্ত্রী ও পুত্রের মুখ দেখতে পেয়ে খুশি বৃদ্ধ। পরিবারের দাবি, তিনি যখন বাংলাদেশে গিয়েছিলেন তখন তাঁর স্ত্রী গর্ভবতী ছিলেন। এখন ছেলে যুবক।

অবশেষে ঘরে ফেলে উল্লসিত শাহজাহান বলেন, ”আমি কতখানি আনন্দিত তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। আমার মনে হচ্ছে আমার পুনর্জন্ম হয়েছে। নরক থেকে স্বর্গে ফিরেছি আমি।