জোট সরকার কি টিকিয়ে রাখতে পারবে বিজেপি? নাকি গেরুয়া শিবিরকে হারিয়ে ক্ষমতা দখল করবে রাহুলের কংগ্রেস? লোকসভা ভোটের মত বিধানসভা ভোটেও কি চমক দেখাতে পারবে কংগ্রেস? বিধানসভা নির্বাচনের আগে হরিয়ানা জুড়ে এখন এসব প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে।
হরিয়ানার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক পঙ্কজ আগরওয়াল জানিয়েছেন, নির্বাচনের নির্ঘণ্ট অনুযায়ী ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে।
১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে পারবেন। ১ অক্টোবর একদফায় হরিয়ানায় বিধানসভা ভোট। ভোট গণনা হবে ৪ অক্টোবর।
পঙ্কজ আগরওয়াল বলেন, ২৭ অগস্ট চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। যদি ১ জুলাইয়ের মধ্যে ১৮ বছর পূর্ণ হওয়া যুবকদের নাম ভোটার তালিকায় না থাকে তবে তাদের নিজ নিজ বুথ লেভেল অফিসারের (বিএলও) সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। তারাই ভোটার লিস্টে নাম তোলার ফর্ম দেবে।
হরিয়ানার ২ কোটি ৩ লক্ষ ২৭ হাজার ৬৩১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ কোটি ৮ লক্ষ ১৯ হাজার ২১ জন, মহিলা ৯৫ লক্ষ ৮ হাজার ১৫৫ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৪৫৫ জন। ১৮ থেকে ১৯ বছর বয়সী অর্থাৎ, তরুণ ভোটারের সংখ্যা ৪ লক্ষ ৮২ হাজার ৮৯৬ জন। বিশেষভাবে সক্ষম ভোটার ১ লক্ষ ৪৯ হাজার ৩৮৭ জন এবং ৮৫ বছরের বেশি বয়সী ভোটার ২ লক্ষ ৪২ হাজার ৮১৮ জন।
এছাড়া ১০০ বছরের বেশি বয়সী ভোটার রয়েছেন ৯ হাজার ৫৫৪ জন। ২০ থেকে ২৯ বছর বয়সী ভোটারের সংখ্যা ৪১ লক্ষ ৫২ হাজার ৮০৬ জন।
আগরওয়াল জানান, রাজ্যে ২০,৬২৯টি পোলিং বুথ থাকবে, যার মধ্যে ৭,১৩২টি শহরাঞ্চলে এবং ১৩,৪৯৭টি গ্রামীণ এলাকায় থাকবে। রাজ্যের ১০,৪৯৫টি জায়গায় এই পোলিং বুথ তৈরি করা হয়েছে।
হরিয়ানার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক বলেন, রাজ্যে ৯০টি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে, যার মধ্যে ১৭টি সংরক্ষিত। নির্বাচনী প্রচারের জন্য প্রার্থীরা সর্বোচ্চ ৪০ লক্ষ টাকা ব্যয় করতে পারবেন। এ জন্য অবশ্য জেলা নির্বাচন আধিকারিককে আলাদা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য দিতে হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচনী জনসভা, রোড শো, হেলিপ্যাড ইত্যাদির অনুমোদন পেতে সুবিধা অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন প্রার্থীরা। ভোটাররা কেওয়াইসি অ্যাপ ব্যবহার করে প্রার্থীদের ব্যাকগ্রাউন্ড সম্পর্কে তথ্য পেতে পারেন। বিশেষভাবে সক্ষমদের সহায়তা করার জন্য একটি বিশেষ অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে।